বাজারের সেরা Ear Buds এবং এগুলোর ব্র্যান্ড, মডেল, দাম, রিভিউ ও সুপারিশ

একটা সময় ছিল যখন তারের জট ছাড়িয়ে গান শোনা ছিল রোজকার ঘটনা। পকেট থেকে হেডফোন বের করতে গেলেই তারগুলো যেন একে অপরের সাথে গভীর প্রেমে জড়িয়ে যেত। কিন্তু প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সেই দিন এখন অতীত। তারবিহীন যুগে এনে দিয়েছে ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও (TWS) বা ইয়ারবাডস।

কানে ছোট দুটি কুঁড়ির মতো গুঁজে দিলেই হলো, আর আপনি হারিয়ে যাবেন সুরের জগতে। গান শোনা, পডকাস্ট, অডিওবুক, এমনকি অফিসের জরুরি মিটিং, সবকিছুতেই Ear Buds এখন আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য অংশ। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে এটি এখন কেবল একটি গ্যাজেট নয়, বরং ফ্যাশনেরও অংশ হয়ে উঠেছে। 

বাজারে শত শত ব্র্যান্ড আর চোখ ধাঁধানো মডেলের ভিড়ে সেরা ইয়ারবাডসটি বেছে নেওয়া বেশ কঠিন। তাই আপনার জন্য কোন ইয়ারবাডসটি সেরা হবে, তা খুঁজে পেতে সাহায্য করে এই নিবন্ধ।

Ear Buds হলো ছোট আকৃতির হেডফোন যা সরাসরি কানে পরে ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ আধুনিক ইয়ারবাডস True Wireless Stereo (TWS) প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যেখানে আলাদা কোনো তার থাকে না। এটি ব্লুটুথের মাধ্যমে ফোন, ল্যাপটপ বা অন্যান্য ডিভাইসের সাথে যুক্ত হয়।

Ear Buds কেনার আগে যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়

সেরা ইয়ারবাডস মানেই সবচেয়ে দামীটা নয়। সেরা ear buds হলো সেটি, যা আপনার প্রয়োজন এবং জীবনযাত্রার সাথে পুরোপুরি মিশে যায়। কেনার আগে এই বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করুন:

১. সাউন্ড কোয়ালিটি ও অডিও কোডেক

এটিই ইয়ারবাডসের আত্মা। পরিষ্কার ও ঝকঝকে শব্দ ছাড়া সেরা ডিজাইনও অর্থহীন।

  • ড্রাইভার: ডায়নামিক ড্রাইভারগুলো শক্তিশালী বেস-এর জন্য পরিচিত, যা পপ বা হিপ-হপ গানের জন্য দারুণ। অন্যদিকে, ব্যালেন্সড আর্মেচার ড্রাইভার পরিষ্কার এবং তীক্ষ্ণ শব্দ প্রদান করে, যা ক্লাসিক্যাল বা অ্যাকোস্টিক গানের জন্য উপযুক্ত।
  • অডিও কোডেক: আপনার ফোন যদি AAC (আইফোনের জন্য আদর্শ), aptX বা LDAC (অ্যান্ড্রয়েডের জন্য সেরা) সমর্থন করে, তবে এমন Ear Buds কিনুন যাতে এই কোডেকগুলো রয়েছে। এটি উচ্চ মানের অডিও নিশ্চিত করে।

২. ডিজাইন, কমফোর্ট ও ফিট

একটি ear buds কতটা আরামদায়ক, তার ওপর নির্ভর করবে আপনি কতক্ষণ এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

  • ইন-ইয়ার বনাম হাফ-ইন-য়ার: ইন-ইয়ার মডেলগুলো কানের ভেতরে ভালোভাবে ফিট হয় এবং বাইরের শব্দ কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, হাফ-ইন-য়ার ডিজাইন দীর্ঘ সময় ব্যবহারের জন্য আরামদায়ক।
  • ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স: আপনি যদি ব্যায়াম করার সময় বা হালকা বৃষ্টিতে এটি ব্যবহার করতে চান, তবে IPX4 বা তার বেশি রেটিংযুক্ত মডেল বেছে নিন।

৩. অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন (ANC) এবং স্মার্ট ফিচার

আধুনিক ইয়ারবাডসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

  • ANC: এই প্রযুক্তি বাইরের অপ্রয়োজনীয় শব্দ (যেমন: গাড়ির হর্ন, মানুষের কোলাহল) ফিল্টার করে আপনাকে শান্ত পরিবেশে গান শোনার সুযোগ করে দেয়। 
  • ট্রান্সপারেন্সি মোড: এই মোড চালু করলে আপনি গান শোনার পাশাপাশি চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কেও সচেতন থাকতে পারবেন, যা রাস্তাঘাটে চলার সময় খুব জরুরি। 
  • মাল্টি-পয়েন্ট কানেক্টিভিটি: এর মাধ্যমে আপনি একই সাথে দুটি ডিভাইসের (যেমন: ল্যাপটপ ও ফোন) সাথে ear buds সংযুক্ত রাখতে পারবেন।

৪. ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং

ঘন ঘন চার্জ দেওয়ার ঝামেলা কেউই পছন্দ করে না।

  • প্লেব্যাক টাইম: একবার সম্পূর্ণ চার্জে ইয়ারবাডসগুলো কতক্ষণ চলবে (সাধারণত ৫-৮ ঘণ্টা) এবং চার্জিং কেসসহ মোট কতক্ষণ ব্যাকআপ দেবে (সাধারণত ২০-৩০ ঘণ্টা) তা দেখে নিন।
  • ফাস্ট ও ওয়্যারলেস চার্জিং: অল্প সময়ে দ্রুত চার্জ পেতে ফাস্ট চার্জিং ফিচারটি আছে কিনা এবং তারবিহীন সুবিধার জন্য ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে কিনা, এগুলো অবশ্যই যাচাই করে নিন।

৫. বাজেট ও ব্র্যান্ড

আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরা পণ্যটি বেছে নিন।

  • দাম ১,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০,০০০ টাকারও বেশি হতে পারে।
  • পরিচিত ব্র্যান্ড যেমন Apple, Samsung, Sony, Huawei, Xiaomi ইত্যাদি থেকে কিনলে মান নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে না।
  • আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরা মডেল বেছে নেওয়াই আসল বুদ্ধিমানের কাজ।

৬. রিভিউ পড়ে সিদ্ধান্ত নিন

অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শেখাই সবচেয়ে সহজ উপায়।

  • রিভিউ পড়ে বুঝতে পারবেন ইয়ারবাডসটি বাস্তবে কেমন পারফর্ম করছে।
  • শুধুমাত্র স্পেসিফিকেশন দেখে সিদ্ধান্ত নিলে পরে আফসোস হতে পারে।
  • ইউজার রিভিউ এবং ভিডিও টেস্ট আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

Ear Buds কেনার সময় শুধু দামের দিকে না তাকিয়ে, আপনার জীবনধারা, ব্যবহার অভ্যাস ও প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নেওয়াই আসল বুদ্ধিমানের কাজ।

Best Ear Buds - বাংলাদেশের বাজারে Ear Buds-এর শীর্ষ মডেল ও ব্র্যান্ড 

বাংলাদেশে পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি (Wearable Technology) দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, আর তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত গ্যাজেট হলো Earbuds। বাজারের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে ব্র্যান্ডগুলো একের পর এক উদ্ভাবনী মডেল নিয়ে আসছে।

নিচে আমরা বাংলাদেশের বাজারের কিছু জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য ear buds ব্র্যান্ড ও তাদের শীর্ষ মডেলগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব, যা আপনাকে আপনার প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী সেরা ইয়ারবাডসটি বেছে নিতে সাহায্য করবে।

১. Apple (অ্যাপল)

অডিও জগতে Apple AirPods একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। আইফোনের সাথে এর সহজবোধ্য সংযোগ, প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং অসাধারণ সাউন্ড কোয়ালিটির জন্য এটি বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।

Apple AirPods - এর মডেল সমূহ 

Apple AirPods Pro 2nd Generation USB C

মূল্য: প্রায় ৳২৪,৫০০

মূল বৈশিষ্ট্যঃ অ্যাডাপটিভ অডিও, অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন (ANC), ট্রান্সপারেন্সি মোড, পার্সোনালাইজড স্প্যাশিয়াল অডিও, ডাইনামিক হেড ট্র্যাকিং, টাচ কন্ট্রোল এবং IP54 রেটিং।


চিপ: Apple H2 (বাডস), U1 চিপ (কেস)

নয়েজ ক্যান্সেলেশন: হ্যাঁ

কানেক্টিভিটি: Bluetooth 5.3

ব্যাটারি লাইফ: ৬ ঘণ্টা (ANC সহ), কেসসহ মোট ৩০ ঘণ্টা

ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স: IP54 (ডাস্ট, সোয়েট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট)

চার্জিং পোর্ট: USB-C, MagSafe ও ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট


AirPods Pro 2nd Generation তাদের জন্য তৈরি, যারা কোনো আপস ছাড়াই সেরা অডিও অভিজ্ঞতা চান। এর শক্তিশালী অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন বাইরের কোলাহল থেকে আপনাকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রাখে। অ্যাডাপটিভ অডিও ফিচারটি পারিপার্শ্বিক শব্দ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে নয়েজ কন্ট্রোল সমন্বয় করে, যা এককথায় অসাধারণ। USB-C পোর্টের সংযোজন এটিকে আরও বেশি ব্যবহারোপযোগী করে তুলেছে।

Apple AirPods 4

মূল্য: প্রায় ৳১৫,৫০০

মূল বৈশিষ্ট্যঃ স্প্যাশিয়াল অডিও ও ডাইনামিক হেড ট্র্যাকিং, অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন (ANC), অ্যাডাপটিভ ইকুয়ালাইজার, আরামদায়ক ইউনিভার্সাল ফিট, স্কিন-ডিটেক্ট সেন্সর এবং IPX4 রেটিং।


চিপ: Apple H1 হেডফোন চিপ

নয়েজ ক্যান্সেলেশন: হ্যাঁ

কানেক্টিভিটি: Bluetooth 5.0

ব্যাটারি লাইফ: ৬ ঘণ্টা, কেসসহ মোট ৩০ ঘণ্টা

ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স: IPX4 (সোয়েট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট)

চার্জিং পোর্ট: লাইটনিং, ওয়্যারলেস চার্জিং (মডেলভেদে)


Apple AirPods 4 বিশেষভাবে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যারা একটি আরামদায়ক ফিট, নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স এবং অ্যাপল ইকোসিস্টেমের সুবিধা চান, তাদের জন্য এটি সেরা পছন্দ। এর হালকা ডিজাইন দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারে কোনো অস্বস্তি তৈরি করে না। দৈনন্দিন জীবনে গান শোনা, পডকাষ্ট বা কল করার জন্য এটি একটি আদর্শ সঙ্গী।

Apple একটি বিশ্বখ্যাত মার্কিন প্রযুক্তি ব্র্যান্ড, যাকে বলা হয় উদ্ভাবন আর প্রিমিয়াম মানের প্রতীক। ১৯৭৬ সালে যাত্রা শুরু করার পর থেকেই তারা একের পর এক এমন পণ্য বাজারে এনেছে, যা আমাদের জীবনযাত্রাকে বদলে দিয়েছে। iPhone, iPad, MacBook, AirPods কিংবা Apple Watch প্রতিটি ডিভাইসই শুধু জনপ্রিয় নয়, বরং প্রযুক্তি জগতের মানদণ্ড তৈরি করেছে। গুণমান, নির্ভরযোগ্যতা আর বিলাসবহুল অভিজ্ঞতার কারণে আজ Apple সারা বিশ্বের কোটি কোটি ব্যবহারকারীর কাছে আস্থার নাম।

২. Samsung (স্যামসাং) 

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য Samsung Galaxy Buds সিরিজ একটি শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য অডিও সমাধান। স্যামসাং ফোনের সাথে এর গভীর ইন্টিগ্রেশন এবং উদ্ভাবনী ফিচার এটিকে অ্যাপলের AirPods-এর যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছে।

Samsung Ear Buds - এর মডেল সমূহ 

Galaxy Buds3 Pro

মূল্য: প্রায় ৳২৪,৫০০

মূল বৈশিষ্ট্যঃ ইন্টেলিজেন্ট ANC, ৩৬০ অডিও, ২৪-বিট হাই-ফাই সাউন্ড, ডলবি অ্যাটমস সাপোর্ট, নতুন স্টেম ডিজাইন এবং IP57 রেটিং।


অডিও ড্রাইভার: কাস্টম টু-ওয়ে স্পিকার (উফার + টুইটার)

নয়েজ ক্যান্সেলেশন: হ্যাঁ

কানেক্টিভিটি: Bluetooth 5.3

অডিও কোডেক: SSC (Samsung Seamless Codec), AAC, SBC

ব্যাটারি লাইফ: ৬ ঘণ্টা (ANC চালু), কেসসহ মোট ৩০ ঘণ্টা

ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স: IP57 (ডাস্ট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট)

ফিচার: অটো-সুইচিং, অ্যাম্বিয়েন্ট সাউন্ড, Galaxy AI


Galaxy Buds3 Pro তাদের জন্য, যারা অ্যান্ড্রয়েড ইКОসিস্টেমে সেরা অডিও অভিজ্ঞতা চান। এর ইন্টেলিজেন্ট ANC বাইরের কোলাহল কার্যকরভাবে ব্লক করে, যখন ৩৬০ অডিও ফিচারটি আপনাকে শব্দের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যায়। নতুন ডিজাইন এবং উন্নত ফিট এটিকে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের জন্য আরামদায়ক করে তুলেছে।

Galaxy Buds2

মূল্য: প্রায় ৳১৫,৫০০

মূল বৈশিষ্ট্যঃ অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন (ANC), ডাইনামিক টু-ওয়ে স্পিকার, হালকা ও আরামদায়ক ডিজাইন এবং উন্নত কল কোয়ালিটি।


অডিও ড্রাইভার: ডাইনামিক টু-ওয়ে স্পিকার (উফার + টুইটার)

নয়েজ ক্যান্সেলেশন: হ্যাঁ

কানেক্টিভিটি: Bluetooth 5.2

অডিও কোডেক: Scalable Codec, AAC, SBC

ব্যাটারি লাইফ: ৫ ঘণ্টা (ANC চালু), কেসসহ মোট ২০ ঘণ্টা

ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স: IPX2 (হালকা ঘামরোধী)

মাইক্রোফোন: ৩টি মাইক্রোফোন + ভয়েস পিকআপ ইউনিট (VPU)


Galaxy Buds2 দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য একটি চমৎকার এবং সাশ্রয়ী বিকল্প। এর হালকা ডিজাইন এবং কার্যকর নয়েজ ক্যান্সেলেশন ফিচার এটিকে এই মূল্যশ্রেণিতে অন্যতম সেরা করে তুলেছে। যারা বাজেটের মধ্যে থেকে একটি মানসম্পন্ন এবং নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের ইয়ারবাডস খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ পছন্দ।

Samsung হলো একটি বিশ্বখ্যাত দক্ষিণ কোরিয়ান প্রযুক্তি ব্র্যান্ড, যা স্মার্টফোন, ইলেকট্রনিক্স এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য সুপরিচিত। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত Samsung আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। উন্নতমানের প্রযুক্তি, বৈচিত্র্যময় দামের মডেল এবং শক্তিশালী ব্র্যান্ড ভ্যালুর কারণে Samsung শুধু আন্তর্জাতিক বাজারেই নয়, বাংলাদেশের মতো দেশেও গ্রাহকদের আস্থার শীর্ষে রয়েছে।

৩. JBL (জেবিএল)

JBL অডিও জগতে একটি সুপরিচিত নাম, যা তার শক্তিশালী বেস (Bass) এবং সিগনেচার সাউন্ড প্রোফাইলের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। কনসার্ট থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত অডিও ডিভাইস পর্যন্ত, JBL ব্যবহারকারীদের একটি প্রাণবন্ত এবং শক্তিশালী সাউন্ড অভিজ্ঞতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে JBL-এর ইয়ারবাডসগুলো স্টাইল এবং পারফরম্যান্সের এক দারুণ সমন্বয়।

JBL Ear Buds - এর মডেল সমূহ 

JBL Live Beam 3 NC TWS Earbuds

মূল্য: প্রায় ৳১৮,০০০

মূল বৈশিষ্ট্যঃ স্মার্ট টাচস্ক্রিন চার্জিং কেস, ট্রু অ্যাডাপটিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন, হাই-রেজোলিউশন অডিও (LDAC), JBL স্প্যাশিয়াল সাউন্ড, ৬টি মাইক্রোফোন এবং IP55 রেটিং।


অডিও ড্রাইভার: 10mm ডাইনামিক ড্রাইভার

নয়েজ ক্যান্সেলেশন: হ্যাঁ (ট্রু অ্যাডাপটিভ)

কানেক্টিভিটি: Bluetooth 5.3

অডিও কোডেক: LDAC, LC3, AAC, SBC

ব্যাটারি লাইফ: ১২ ঘণ্টা (ANC বন্ধ), কেসসহ মোট ৪৮ ঘণ্টা

ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স: IP55 (ইয়ারবাডস)

ফিচার: ১.৪৫ ইঞ্চি স্মার্ট চার্জিং কেস, মাল্টি-পয়েন্ট কানেকশন


JBL Live Beam 3 তাদের জন্য একদম উপযুক্ত, যারা সাউন্ড কোয়ালিটির পাশাপাশি সর্বশেষ প্রযুক্তির উদ্ভাবন উপভোগ করতে চান। এর টাচস্ক্রিন যুক্ত স্মার্ট চার্জিং কেসটি বাজারের অন্য যেকোনো মডেল থেকে একে আলাদা করে তুলেছে, যা দিয়ে আপনি ফোন ছাড়াই কল, মিউজিক এবং নোটিফিকেশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। হাই-রেজোলিউশন অডিও এবং শক্তিশালী নয়েজ ক্যান্সেলেশন এটিকে প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য এক অসাধারণ পছন্দ করে তুলেছে।

JBL Wave Beam 2 ANC Wireless Earbuds

মূল্য: প্রায় ৳৭,৯৯৯

মূল বৈশিষ্ট্যঃ JBL ডিপ বেস সাউন্ড, আরামদায়ক ডিজাইন, দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ, অ্যাম্বিয়েন্ট অ্যাওয়ার ও টকথ্রু প্রযুক্তি এবং IP54 রেটিং।


অডিও ড্রাইভার: 8mm ডাইনামিক ড্রাইভার

নয়েজ ক্যান্সেলেশন: না (তবে Ambient Aware ও TalkThru ফিচার আছে)

কানেক্টিভিটি: Bluetooth 5.2

অডিও কোডেক: AAC, SBC

ব্যাটারি লাইফ: ৮ ঘণ্টা, কেসসহ মোট ৩২ ঘণ্টা

ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স: IP54 (ইয়ারবাডস), IPX2 (কেস)

মাইক্রোফোন: VoiceAware প্রযুক্তি সহ বিল্ট-ইন মাইক্রোফোন


JBL Wave Beam দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য একটি চমৎকার "ভ্যালু ফর মানি" ইয়ারবাডস। যারা JBL-এর সিগনেচার ডিপ বেস সাউন্ড পছন্দ করেন এবং বাজেটের মধ্যে একটি নির্ভরযোগ্য ডিভাইস চান, তাদের জন্য এটি আদর্শ। যদিও এতে অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন নেই, তবে এর অ্যাম্বিয়েন্ট অ্যাওয়ার ও টকথ্রু ফিচারগুলো পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থেকে গান শোনার সুবিধা দেয়।

JBL হলো বিশ্বের শীর্ষ অডিও ব্র্যান্ডগুলোর একটি, যা অসাধারণ সাউন্ড কোয়ালিটি ও টেকসই পণ্যের জন্য সুপরিচিত। শুরুতে পেশাদার মিউজিক সিস্টেম দিয়ে নাম করলেও, এখন তারা হেডফোন, ইয়ারবাডস থেকে শুরু করে পোর্টেবল স্পিকার পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান জনপ্রিয়। শক্তিশালী বেজ, ক্রিস্টাল-ক্লিয়ার সাউন্ড এবং স্টাইলিশ ডিজাইনের কারণে JBL শুধু সংগীতপ্রেমীদের জন্য নয়, বরং সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছেও আস্থার নাম।

৪. Anker (অ্যাঙ্কার)

Anker, বিশেষ করে তাদের Soundcore সাব-ব্র্যান্ডের মাধ্যমে, সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিমিয়াম অডিও অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, শক্তিশালী নয়েজ ক্যান্সেলেশন এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ দিয়ে তারা বাংলাদেশের বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। যারা বাজেটের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্স চান, তাদের জন্য Anker একটি নির্ভরযোগ্য নাম।

Anker Ear Buds - এর মডেল সমূহ 

Anker Soundcore Sleep A20 TWS Earbuds

মূল্য: প্রায় ৳১৩,৫০০

মূল বৈশিষ্ট্যঃ আরামদায়ক স্লিপ ডিজাইন, ৪-পয়েন্ট নয়েজ মাস্কিং সিস্টেম, ব্যক্তিগত অ্যালার্ম, দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ, টুইন-সিল ইয়ারটিপস এবং স্লিপ মনিটরিং।


ডিজাইন: সাইড স্লিপিং-এর জন্য বিশেষভাবে তৈরি

নয়েজ ক্যান্সেলেশন: না (তবে ৪-পয়েন্ট নয়েজ মাস্কিং সিস্টেম রয়েছে)

কানেক্টিভিটি: Bluetooth 5.3

ব্যাটারি লাইফ: ১৪ ঘণ্টা (স্লিপ মোড), কেসসহ মোট ৮০ ঘণ্টা

ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স: অনির্দিষ্ট

ফিচার: ব্যক্তিগত অ্যালার্ম, স্লিপ ট্র্যাকিং


Anker Soundcore Sleep A20 কোনো সাধারণ ইয়ারবাডস নয়; এটি বিশেষভাবে তাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যাদের পারিপার্শ্বিক শব্দের কারণে ঘুমাতে সমস্যা হয়। এটি গান শোনার চেয়ে বাইরের বিরক্তিকর শব্দ (যেমন নাক ডাকা বা রাস্তার কোলাহল) ব্লক করে এবং ঘুমের জন্য সহায়ক শান্ত শব্দ বাজিয়ে একটি আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করে। যারা শান্তিতে ঘুমাতে চান, তাদের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী পণ্য।

Anker Soundcore Liberty 4 NC TWS

মূল্য: প্রায় ৳৬,০৫০

মূল বৈশিষ্ট্যঃ অ্যাডাপটিভ ANC 2.0, হাই-রেজোলিউশন ওয়্যারলেস অডিও (LDAC), দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, ৬টি মাইক্রোফোন এবং কাস্টমাইজেবল EQ।


অডিও ড্রাইভার: 11mm কাস্টম-টিউনড ড্রাইভার

নয়েজ ক্যান্সেলেশন: হ্যাঁ (অ্যাডাপটিভ ANC 2.0)

কানেক্টিভিটি: Bluetooth 5.3

অডিও কোডেক: LDAC, AAC, SBC

ব্যাটারি লাইফ: ১০ ঘণ্টা, কেসসহ মোট ৫০ ঘণ্টা

ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স: IPX4 (ইয়ারবাডস)

ফিচার: মাল্টি-পয়েন্ট কানেকশন, ওয়্যারলেস চার্জিং, সাউন্ডकोर অ্যাপ


Anker Soundcore Liberty 4 NC বাংলাদেশের বাজারে অন্যতম জনপ্রিয় একটি মডেল, যা "ফ্ল্যাগশিপ কিলার" হিসেবে পরিচিত। এটি এমন সব ফিচার অফার করে যা সাধারণত অনেক দামী ইয়ারবাডসে পাওয়া যায়। এর শক্তিশালী নয়েজ ক্যান্সেলেশন, হাই-রেজোলিউশন অডিও সাপোর্ট এবং অবিশ্বাস্য ব্যাটারি লাইফ এটিকে দৈনন্দিন ব্যবহার, ভ্রমণ বা অফিসের কাজের জন্য সেরা করে তুলেছে। এই বাজেটে এর চেয়ে ভালো বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন।

Anker একটি বিশ্বস্ত গ্লোবাল টেক ব্র্যান্ড, যা মূলত Soundcore সাব-ব্র্যান্ডের মাধ্যমে অডিও জগতে পরিচিতি লাভ করেছে। সাশ্রয়ী মূল্যে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, চমৎকার সাউন্ড কোয়ালিটি এবং নির্ভরযোগ্য ব্যাটারি লাইফ দেওয়ার জন্য Anker দ্রুতই অডিও বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। গুণগত মান বজায় রেখে সবার নাগালের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করাই Anker-এর মূল শক্তি।

সেরা Ear Buds মডেলের তুলনা

মডেল

Apple AirPods Pro 2nd Gen USB C

Samsung Galaxy Buds3 Pro

JBL Live Beam 3 NC TWS

Anker Soundcore Liberty 4 NC

ব্র্যান্ড

Apple

Samsung

JBL

Anker

দাম (টাকা)

প্রায় ৳২৪,৫০০

প্রায় ৳২৪,৫০০

প্রায় ৳১৮,০০০

প্রায় ৳৬,০৫০

মূল বৈশিষ্ট্য

অ্যাডাপটিভ অডিও, স্প্যাশিয়াল অডিও, সেরা ইকোসিস্টেম

২৪-বিট হাই-ফাই অডিও, ৩৬০ অডিও, ইন্টেলিজেন্ট ANC

স্মার্ট টাচস্ক্রিন কেস, হাই-রেজ অডিও (LDAC)

হাই-রেজ অডিও (LDAC), দীর্ঘ ব্যাটারি, অ্যাডাপটিভ ANC

নয়েজ ক্যান্সেলেশন

হ্যাঁ

হ্যাঁ

হ্যাঁ (অ্যাডাপটিভ)

হ্যাঁ (অ্যাডাপটিভ)

কানেক্টিভিটি

Bluetooth 5.3

Bluetooth 5.3

Bluetooth 5.3

Bluetooth 5.3

ব্যাটারি লাইফ

৩০ ঘণ্টা (কেসসহ)

৩০ ঘণ্টা (কেসসহ)

৪৮ ঘণ্টা (কেসসহ)

৫০ ঘণ্টা (কেসসহ)

উৎপত্তি

যুক্তরাষ্ট্র

দক্ষিণ কোরিয়া

যুক্তরাষ্ট্র

চীন

বাংলাদেশের জন্য সেরা Ear Buds সুপারিশ

যারা Apple ইকোসিস্টেমের অংশ এবং কোনো আপস ছাড়াই সেরা অডিও অভিজ্ঞতা চান, তাদের জন্য Apple AirPods Pro 2nd Generation নিঃসন্দেহে সেরা পছন্দ। এর শক্তিশালী অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন, পার্সোনালাইজড স্প্যাশিয়াল অডিও এবং আইফোনের সাথে অসাধারণ ইন্টিগ্রেশন এটিকে প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ করে তুলেছে।

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য Samsung Galaxy Buds3 Pro একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এর ২৪-বিট হাই-ফাই অডিও, ইন্টেলিজেন্ট নয়েজ ক্যান্সেলেশন এবং স্যামসাং ডিভাইসের সাথে অটো-সুইচিং ফিচার ব্যবহারকারীদের স্টাইল ও প্রযুক্তির সেরা সমন্বয় প্রদান করে।

যারা গতানুগতিক ধারার বাইরে নতুন কিছু চান, তাদের জন্য JBL Live Beam 3 একটি অসাধারণ পছন্দ। এর টাচস্ক্রিন যুক্ত স্মার্ট চার্জিং কেস, হাই-রেজোলিউশন অডিও সাপোর্ট এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এটিকে প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

যারা সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্ল্যাগশিপ-স্তরের ফিচার চান, তাদের জন্য Anker Soundcore Liberty 4 NC সেরা অপশন। এর অ্যাডাপটিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন, হাই-রেজোলিউশন অডিও (LDAC) এবং অবিশ্বাস্য ব্যাটারি লাইফ এটিকে এই বাজেটে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছে।

সামগ্রিকভাবে, Anker Soundcore Liberty 4 NC বাংলাদেশের জন্য সেরা সুপারিশ। কারণ এটি অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে শক্তিশালী নয়েজ ক্যান্সেলেশন, চমৎকার সাউন্ড কোয়ালিটি এবং বাজারের সেরা ব্যাটারি লাইফ প্রদান করে, যা বেশিরভাগ বাংলাদেশি ব্যবহারকারীর বাজেট এবং প্রয়োজনের সাথে পুরোপুরি মানানসই।

বাংলাদেশে Ear Buds এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ডসমূহের তুলনা

বাংলাদেশের ইয়ারবাডস বাজার দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং এখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নিজস্ব পরিচিতি, মান ও মূল্যমান অনুযায়ী আলাদা গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে। নিচে চারটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেওয়া হলো:

ব্র্যান্ড

পরিচিতি

গুণগত মান

বাজারমূল্য

Apple

প্রিমিয়াম স্ট্যাটাস, অ্যাপল ইকোসিস্টেমের সাথে সেরা সংযোগ এবং ব্যবহারবান্ধব অভিজ্ঞতার জন্য সুপরিচিত।

সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য, সেরা বিল্ড কোয়ালিটি।

উচ্চ মূল্য

Samsung

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা পছন্দ, উদ্ভাবনী ফিচার এবং স্টাইলিশ ডিজাইনের জন্য জনপ্রিয়।

উন্নতমানের প্রযুক্তি ও নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স।

মাঝারি থেকে উচ্চ মূল্য

JBL

শক্তিশালী বেস (Bass) এবং প্রাণবন্ত সিগনেচার সাউন্ড প্রোফাইলের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।

টেকসই বিল্ড কোয়ালিটি এবং শক্তিশালী অডিও পারফরম্যান্স।

মাঝারি থেকে উচ্চ মূল্য

Anker

"ভ্যালু ফর মানি" বা সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্ল্যাগশিপ-স্তরের ফিচার প্রদানের জন্য সর্বাধিক পরিচিত।

দাম অনুযায়ী চমৎকার মান, ফিচার-সমৃদ্ধ এবং নির্ভরযোগ্য।

বাজেট থেকে মাঝারি মূল্য

কাস্টমার রিভিউ ও ফিডব্যাক

★★★★★

"আমি একজন আইফোন ইউজার, তাই AirPods Pro 2nd Gen আমার জন্য সেরা অপশন। এর নয়েজ ক্যান্সেলেশন আর সাউন্ড কোয়ালিটি দুটোই অসাধারণ। বিশেষ করে অ্যাডাপটিভ অডিও ফিচারটা বাইরের পরিবেশের সাথে নিজে থেকেই মানিয়ে নেয়, যা দারুণ লাগে। তবে দামটা একটু বেশি, এটা ছাড়া আর কোনো অভিযোগ নেই।"

– সাকিব আহমেদ, ঢাকা

Source: Apple Gadgets BD

★★★★★

"আমার স্যামসাং ফোনের সাথে Galaxy Buds3 Pro ব্যবহার করে আমি মুগ্ধ। ২৪-বিট অডিওতে গানের প্রতিটি ডিটেইলস পরিষ্কার শোনা যায়। ইন্টেলিজেন্ট ANC বাইরের কোলাহল একদম ব্লক করে দেয়। নতুন ডিজাইনটাও কানে খুব ভালোভাবে ফিট হয়।"

– ফারিয়া ইসলাম, চট্টগ্রাম

Source: Samsung Official Store

★★★★★

"JBL Live Beam 3 কিনেছি মূলত এর স্মার্ট কেসটার জন্য। ফোন বের না করেই কেসের স্ক্রিন থেকে গান বদলানো বা কল ধরা যায়, এটা একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। ব্যাটারি ব্যাকআপও দুর্দান্ত। সাউন্ড কোয়ালিটি নিয়ে JBL-কে নতুন করে কিছু বলার নেই।"

– রায়হান চৌধুরী, সিলেট

Source: Gadget & Gear

★★★★★

"Anker Soundcore Liberty 4 NC এক কথায় পয়সা উসুল। এই দামে এত ভালো নয়েজ ক্যান্সেলেশন পাব, ভাবতেই পারিনি। বাসে বা কোলাহলপূর্ণ জায়গায় এটা দারুণ কাজ করে। আর ব্যাটারি তো শেষই হতে চায় না! আমার বাজেটে এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারত না।"

– নাদিয়া সুলতানা, খুলনা

Source: Dara

উপসংহার

বাংলাদেশের বাজারে Earbuds এখন কেবল সঙ্গীত শোনার ডিভাইস নয়, বরং স্টাইল, ফ্যাশন এবং দৈনন্দিন যোগাযোগের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। বাজারে Apple, Samsung, JBL, Anker, OnePlus, Sony-এর মতো বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের বৈচিত্র্যময় মডেল পাওয়া যায়, যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন চাহিদা ও বাজেট অনুযায়ী বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয়। সেরা Earbuds বেছে নিতে হলে পারফরম্যান্স, ব্যাটারি লাইফ, কামেরফিট এবং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সঠিক পছন্দ আপনার অডিও অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ ও আনন্দদায়ক করে তুলবে।