বাজারের সেরা Electric Stove এবং তাদের ধরণ, মডেল ও ব্র্যান্ড - কোনটি কেনা উচিত

আজকের যুগে প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতির সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও এসেছে নানা পরিবর্তন। রান্নাঘরের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি এর মধ্যে অন্যতম। এক সময় গ্যাস স্টোভই ছিল রান্নার একমাত্র পছন্দ, কিন্তু বর্তমানে ইলেকট্রিক স্টোভ এসেছে নতুন এক আধুনিক বিকল্প হিসেবে। এটা শুধু প্রযুক্তির উন্নতির প্রতিফলনই নয়, একই সাথে রান্নার একটি সহজ, নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি প্রদান করে। 

বিশেষ করে শহুরে জীবনে, যেখানে গ্যাসের স্টোভের ব্যবহার কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং অসুবিধাজনক, সেখানে ইলেকট্রিক স্টোভ অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত এই স্টোভটি রান্নার সময় তাপমাত্রার সহজ নিয়ন্ত্রণ, দ্রুত রান্না এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা এনে দেয়।

বাংলাদেশের বাজারে নানা রকম ইলেকট্রিক স্টোভ আছে। কোনটা আপনার জন্য সঠিক, তা বেছে নেওয়া কখনও কখনও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশে পাওয়া সেরা ইলেকট্রিক স্টোভের মডেল, ব্র্যান্ড আর তাদের বিশেষত্ব নিয়ে আলোচনা করব, যাতে আপনি সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

Electric Stove সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা এবং এটির কার্যপ্রণালী

Electric Stove বা বৈদ্যুতিক চুলা হলো একটি রান্নার যন্ত্র যা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তাপ উৎপন্ন করে খাবার রান্না করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি গ্যাস স্টোভের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং বর্তমান যুগে খুবই জনপ্রিয়, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে।

ইলেকট্রিক স্টোভে সাধারণত একটি সমতল পৃষ্ঠ থাকে, যার ওপর কয়েকটি বৈদ্যুতিক কয়েল বা হিটিং এলিমেন্ট থাকে, যাদেরকে "বার্নার" বলা হয়। কিছু আধুনিক মডেলে কাচ-সিরামিক পৃষ্ঠ এবং ইন্ডাকশন প্রযুক্তিও ব্যবহৃত হয়। এটি বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত হয় এবং সাধারণত 220-240 ভোল্টের পাওয়ার সাপ্লাই প্রয়োজন হয়। তাপমাত্রা ও শক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য এতে নব বা ডিজিটাল কন্ট্রোল প্যানেল থাকে।

ইলেকট্রিক স্টোভ বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করে কাজ করে। যখন স্টোভটি চালু করা হয়, তখন বিদ্যুৎ তার হিটিং এলিমেন্টে প্রবাহিত হয়। এই হিটিং এলিমেন্টে, যেমন ধাতব কয়েলে, বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে প্রতিরোধ সৃষ্টি হয়, যা তাপে রূপান্তরিত হয় এবং বার্নারকে গরম করে। এরপর গরম হওয়া বার্নার থেকে তাপ রান্নার পাত্রে, যেমন প্যান বা হাঁড়িতে, স্থানান্তরিত হয়। এটি সরাসরি সংস্পর্শে বা ইন্ডাকশন প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটতে পারে। পাত্রে তাপ পৌঁছালে খাবার গরম হয়, রান্না হয় বা ফুটতে শুরু করে।

এই ধরনের চুলা ব্যবহারে গ্যাসের প্রয়োজন হয় না, এটি অনেক নিরাপদ এবং পরিষ্কার রাখা সহজ। তবে বিদ্যুৎ না থাকলে এটি ব্যবহার করা যায় না এবং কিছু মডেল ধীরে গরম হয়।

ইলেকট্রিক স্টোভের প্রকারভেদ

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইলেকট্রিক স্টোভের ধরন নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমরা এর প্রধান প্রকারগুলো দেখব, যা বাজারে পাওয়া যায় এবং ব্যবহারের ধরনের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। নিচে ইলেকট্রিক স্টোভের প্রকারগুলো সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো:

১. কয়েল ইলেকট্রিক স্টোভ (Coil Electric Stove)

কয়েল ইলেকট্রিক স্টোভ হলো সবচেয়ে পরিচিত ও ঐতিহ্যবাহী ধরনের ইলেকট্রিক স্টোভ, যা ধাতব কয়েলের মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করে। বাংলাদেশে এটি সাশ্রয়ী দামের জন্য জনপ্রিয়।

বৈশিষ্ট্য:

  • ধাতব কয়েল বিদ্যুৎ প্রবাহে গরম হয়।
  • দামে সস্তা ও সহজলভ্য।
  • সাধারণ রান্নার জন্য উপযোগী।
  • পরিষ্কার করা তুলনামূলকভাবে কঠিন।
  • গরম হতে একটু সময় লাগে।

২. সিরামিক ইলেকট্রিক স্টোভ (Ceramic Electric Stove)

সিরামিক ইলেকট্রিক স্টোভে মসৃণ কাচের প্লেট থাকে, যার নিচে হিটিং এলিমেন্ট কাজ করে। এটি আধুনিক রান্নাঘরে সৌন্দর্য ও কার্যকারিতার জন্য পছন্দ হয়।

বৈশিষ্ট্য:

  • কাচের মতো সিরামিক পৃষ্ঠ, দেখতে আকর্ষণীয়।
  • তাপ সমানভাবে ছড়ায়।
  • পরিষ্কার করা সহজ।
  • কয়েলের তুলনায় দাম বেশি।
  • ভাঙার ঝুঁকি থাকে।

৩. ইন্ডাকশন স্টোভ (Induction Stove)

ইন্ডাকশন স্টোভ চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ব্যবহার করে সরাসরি পাত্র গরম করে, যা এটিকে দক্ষ ও নিরাপদ করে। বাংলাদেশে গ্যাস সংকটের সময় এটি একটি জনপ্রিয় বিকল্প।

বৈশিষ্ট্য:

  • দ্রুত তাপ উৎপন্ন করে।
  • বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও নিরাপদ।
  • স্টোভের পৃষ্ঠ ঠান্ডা থাকে।
  • শুধু ইন্ডাকশন-সামঞ্জস্যপূর্ণ পাত্রে কাজ করে।
  • দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।

৪. ইনফ্রারেড ইলেকট্রিক স্টোভ (Infrared Electric Stove)

ইনফ্রারেড ইলেকট্রিক স্টোভ তরঙ্গের মাধ্যমে তাপ দেয়, যা সব ধরনের পাত্রে কাজ করে। এটি আধুনিকতা ও বহুমুখিতার জন্য পছন্দ হয়।

বৈশিষ্ট্য:

  • ইনফ্রারেড তরঙ্গ দিয়ে দ্রুত তাপ দেয়।
  • সব ধরনের পাত্রে ব্যবহারযোগ্য।
  • দেখতে আকর্ষণীয়।
  • ইন্ডাকশনের তুলনায় কম শক্তি-দক্ষ।
  • দাম মাঝারি থেকে বেশি।

৫. হট প্লেট ইলেকট্রিক স্টোভ (Hot Plate Electric Stove)

হট প্লেট ইলেকট্রিক স্টোভ একটি সমতল গরম প্লেট নিয়ে গঠিত, যা পোর্টেবল ও হালকা। বাংলাদেশে ছোট জায়গা বা অস্থায়ী ব্যবহারের জন্য এটি আদর্শ।

বৈশিষ্ট্য:

  • হালকা ও বহনযোগ্য।
  • দামে সাশ্রয়ী।
  • সাধারণ রান্নার জন্য উপযুক্ত।
  • তাপ নিয়ন্ত্রণ সীমিত।
  • ভারী রান্নার জন্য উপযোগী নয়।

Electric Stove কেনার আগে যা জানতে হবে

ইলেকট্রিক স্টোভ কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা দরকার, যাতে আপনি আপনার চাহিদা, বাজেট এবং রান্নাঘরের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মডেলটি বেছে নিতে পারেন। এখানে বিস্তারিত গাইডলাইন দেওয়া হলো:

১. রান্নার চাহিদা বুঝুন

আপনার রান্নার ধরন ও পরিবারের সাইজ বোঝা সঠিক স্টোভ বাছাইয়ের প্রথম ধাপ।

  • রান্নার ধরন: আপনি কী ধরনের রান্না করবেন? শুধু হালকা কাজ (চা, সিদ্ধ) নাকি ভারী রান্না (বেকিং, গ্রিলিং)? ইন্ডাকশন মডেল বেকিং বা সুনির্দিষ্ট তাপের জন্য ভালো, আর কয়েল স্টোভ সাধারণ রান্নার জন্য যথেষ্ট।
  • হিটিং জোনের সংখ্যা: একক হিটিং জোন ছোট পরিবার বা একা ব্যক্তির জন্য, আর দুই বা ততোধিক জোন বড় পরিবারের জন্য আদর্শ।

২. নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

রান্নাঘরে দুর্ঘটনা এড়াতে স্টোভের নিরাপত্তা ফিচারগুলো অগ্রাধিকার দিন।

  • অটো-অফ সিস্টেম: অতিরিক্ত গরম হলে বা পাত্র সরিয়ে নিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হওয়ার ফিচার থাকা জরুরি।
  • চাইল্ড লক: বাড়িতে বাচ্চা থাকলে এই ফিচার নিরাপত্তা বাড়ায়।
  • ওভারহিট প্রোটেকশন: দীর্ঘ সময় ব্যবহারে স্টোভের ক্ষতি রোধ করে।

৩. গুণমান যাচাই করুন

টেকসই ও দক্ষ স্টোভের জন্য উপাদান ও বিল্ড কোয়ালিটি মূল্যায়ন করা জরুরি।

  • বডি ম্যাটেরিয়াল: স্টেইনলেস স্টিল বডি টেকসই এবং মরিচা-প্রতিরোধী। টেম্পারড গ্লাস টপ দেখতে সুন্দর, তবে ভাঙার ঝুঁকি থাকে।
  • হিটিং এলিমেন্ট: কয়েল সস্তা কিন্তু ধীরে গরম হয়; সিরামিক প্লেট দ্রুত এবং সমান তাপ দেয়; ইন্ডাকশন সবচেয়ে দক্ষ ও নিরাপদ।

৪. বিদ্যুৎ খরচ হিসেব করুন

বিদ্যুৎ বিলের ওপর নজর রেখে এনার্জি-দক্ষ মডেল বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

  • ওয়াটেজ: ৬০০W-১০০০W হালকা কাজের জন্য, ১৫০০W-২৫০০W ভারী রান্নার জন্য। বেশি ওয়াটেজ মানে দ্রুত তাপ, কিন্তু বিদ্যুৎ খরচও বাড়ে।
  • এনার্জি এফিসিয়েন্সি: ইন্ডাকশন স্টোভ সাধারণত বিদ্যুৎ বাঁচায়, কারণ এটি শুধু পাত্রের জায়গায় তাপ দেয়।

৫. ব্র্যান্ড ও ওয়ারেন্টি দেখুন

নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড ও ভালো ওয়ারেন্টি আপনার বিনিয়োগকে সুরক্ষিত রাখে।

  • বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড: Walton, Philips, Miyako, Nova-র মতো ব্র্যান্ড ভালো সার্ভিস ও গুণমান দেয়।
  • ওয়ারেন্টি: কমপক্ষে ১-২ বছরের ওয়ারেন্টি থাকা উচিত, বিশেষ করে হিটিং এলিমেন্ট ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের জন্য।

৬. আকার ও ডিজাইন বেছে নিন

রান্নাঘরের জায়গা ও সৌন্দর্যের কথা মাথায় রেখে স্টোভের ডিজাইন নির্বাচন করুন।

  • রান্নাঘরের জায়গা: ছোট রান্নাঘরে পোর্টেবল একক স্টোভ, বড় জায়গায় বিল্ট-ইন ডাবল জোন মডেল ভালো।
  • ডিজাইন: স্লিক টাচ প্যানেল আধুনিক, নব কন্ট্রোল সাধারণ ও সহজ।

৭. বাজেট ঠিক করুন

আপনার পকেটের সঙ্গে মিলিয়ে ফিচার ও দামের ভারসাম্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

  • দাম ১,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ২০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে। সাধারণ কয়েল স্টোভ সস্তা, ইন্ডাকশন বেশি দামি কিন্তু দক্ষ।

৮. বিদ্যুৎ সরবরাহ চেক করুন

স্টোভের সঠিক কার্যক্ষমতার জন্য আপনার এলাকার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি বিবেচনা করুন।

  • পাওয়ার সাপ্লাই: আপনার এলাকায় বিদ্যুৎ স্থিতিশীল কিনা দেখুন। লোডশেডিং বেশি হলে ব্যাকআপ (ইনভার্টার/জেনারেটর) চিন্তা করুন।
  • প্লাগ ও ভোল্টেজ: বাংলাদেশে 220-240V স্ট্যান্ডার্ড, স্টোভটি এর সঙ্গে মানানসই কিনা চেক করুন।

৯. রিভিউ পড়ে সিদ্ধান্ত নিন

অন্যদের অভিজ্ঞতা জেনে সঠিক স্টোভ কেনার আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

  • অনলাইনে বা পরিচিতদের কাছ থেকে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা জানুন। দোকানে গিয়ে হাতে-কলমে পরীক্ষা করে দেখুন। 

কেনার আগে বিক্রেতার কাছ থেকে ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া, রক্ষণাবেক্ষণের টিপস এবং ব্যবহারের নির্দেশনা জেনে নিন। একটি ভালো ইলেকট্রিক স্টোভ আপনার রান্নার অভিজ্ঞতাকে আরও আরামদায়ক ও দক্ষ করে তুলবে। 

Best Electric Stove - বাংলাদেশে Electric Stove-এর শীর্ষ মডেল ও ব্র্যান্ড 

বাংলাদেশে ইলেকট্রিক স্টোভের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, এবং সেই সঙ্গে বাজারেও নানা ধরণের মডেল ও ব্র্যান্ড পাওয়া যাচ্ছে। নিচে আমরা কিছু জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য ইলেকট্রিক স্টোভ ব্র্যান্ড ও তাদের শীর্ষ মডেলগুলো সম্পর্কে আলোচনা করবোঃ

১. সেরা Philips Electric Stove 

Philips Electric Stove হলো আধুনিক প্রযুক্তির একটি কার্যকর রান্নার সরঞ্জাম, যা ফ্লেম-ফ্রি ইনডাকশন কুকিং সিস্টেম ব্যবহার করে। এই স্টোভগুলো নিরাপদ, দ্রুত এবং বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী রান্নার অভিজ্ঞতা প্রদান করে। গ্যাসের তুলনায় অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণযোগ্য তাপমাত্রা ও রান্নার গতি পাওয়া যায়। Philips Electric Stove-এর আকর্ষণীয় ডিজাইন, স্মার্ট টাচ কন্ট্রোল, অটো শাট-অফ, এবং মাল্টি পাওয়ার লেভেল সুবিধা আপনার রান্নাঘরকে করে তোলে আরও স্মার্ট ও আধুনিক। 

Philips Electric Stove - এর মডেল সমূহ 

Philips HD-4902/60 Induction Cooker

মূল বৈশিষ্ট্যঃ ২০০০ ওয়াট শক্তি ও বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, দ্রুত গরম হয় ও রান্না সম্পন্ন করে, সহজে পরিষ্কারযোগ্য স্মুথ ব্ল্যাক গ্লাস টপ, রান্নার সময় রান্নাঘর ঠাণ্ডা রাখে, ওভারহিটিং থেকে সুরক্ষা (Auto shut-off), ছোট থেকে মাঝারি পরিবারের জন্য উপযোগী, স্মার্ট টাচ কন্ট্রোল, আধুনিক ও স্টাইলিশ ডিজাইন

 

টাইপঃ ইনডাকশন কুকার

ওজনঃ ২.৫ কেজি

ভোল্টেজঃ ২২০-২৪০ ভোল্ট।

পাওয়ারঃ ২০০০ ওয়াট।

 

Philips HD-4902/60 Induction Cooker একটি শক্তিশালী ও আধুনিক কুকার, যা দ্রুত এবং নিরাপদভাবে রান্নার সুবিধা দেয়। ২০০০ ওয়াট শক্তির এই ইনডাকশন কুকারটি ঘরের রান্না সহজ করে তোলে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। সহজে পরিষ্কারযোগ্য কালো গ্লাস টপ ডিজাইন ও ওভারহিট প্রোটেকশন সিস্টেমসহ এটি পরিবারের সবার জন্য উপযোগী একটি চমৎকার রান্নার যন্ত্র।

Philips HD-4929 Induction Cooker

মূল বৈশিষ্ট্যঃ ২১০০ ওয়াট শক্তি, ফ্লেম-ফ্রি ইনডাকশন টেকনোলজি, স্মার্ট টাচ কন্ট্রোল, সিলড বার্নার ডিজাইন, অটো শাট-অফ, ৮টি পাওয়ার লেভেল, ১.২ মিটার পাওয়ার কর্ড, কালো গ্লাস বডি, ২৪০ ভোল্টে কার্যক্ষম, বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী ডিজাইন।

 

টাইপঃ ইনডাকশন কুকার

ওজনঃ ২.৮ কেজি

ভোল্টেজঃ ২২০-২৪০ ভোল্ট।

পাওয়ারঃ ২১০০ ওয়াট।

 

Philips HD-4929 Induction Cooker একটি আধুনিক ও নিরাপদ রান্নার যন্ত্র, যা ফ্লেম ছাড়াই দ্রুত এবং কার্যকরভাবে রান্না করে। ২.৮ কেজি ওজনের হালকা ও সহজে বহনযোগ্য এই কুকারটি ২১০০ ওয়াট শক্তির মাধ্যমে রান্নাকে করে দ্রুত ও সময়-সাশ্রয়ী। এর টাচ কন্ট্রোল প্যানেল, অটো শাট-অফ এবং ৮টি পাওয়ার লেভেল রান্নাকে করে আরো সহজ, নিরাপদ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব। আধুনিক ডিজাইন ও শক্তিশালী ফিচারসহ এটি যেকোন রান্নাঘরের জন্য একটি আদর্শ চয়েস।

মূল্য: Philips ইলেকট্রিক স্টোভের দাম সাধারণত ৬,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

Philips একটি বিশ্বখ্যাত নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, যা হেলথ, হোম অ্যাপ্লায়েন্স এবং লাইটিং সল্যুশনে বিশেষভাবে সুপরিচিত। ১৮৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছে মানসম্পন্ন এবং ইনোভেটিভ পণ্য সরবরাহের জন্য জনপ্রিয়। তাদের হোম কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স, বিশেষ করে ইনডাকশন কুকার ও ইলেকট্রিক স্টোভ, গুণমান, সাশ্রয় ও নিরাপত্তার সমন্বয় ঘটায়।

২. সেরা Miyako Electric Stove

Miyako Electric Stove হলো আধুনিক, কার্যকর এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব রান্নাঘরের যন্ত্র, যা রান্নার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে। Miyako Appliance Limited, একটি শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশী ব্র্যান্ড দ্বারা তৈরি, এই স্টোভগুলো উন্নত ইনডাকশন এবং ইনফ্রারেড প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্লেম-ফ্রি, নিরাপদ এবং বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী রান্নার সমাধান প্রদান করে। এর স্থায়িত্ব, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, Miyako Electric Stove ছোট থেকে মাঝারি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে এবং ঐতিহ্যবাহী গ্যাস স্টোভের একটি স্মার্ট বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, অটো শাট-অফের মতো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং সহজে পরিষ্কারযোগ্য পৃষ্ঠের কারণে এটি বাংলাদেশে জনপ্রিয়।

Miyako Electric Stove - এর মডেল সমূহ

Miyako TC - 230 - IDIF

মূল বৈশিষ্ট্যঃ ২০০০ ওয়াট শক্তি, বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তি, ডুয়াল কুকিং জোন (ইনডাকশন ও ইনফ্রারেড), দ্রুত গরম, স্মুথ ব্ল্যাক গ্লাস টপ, ফ্লেম-ফ্রি রান্না, ওভারহিটিং সুরক্ষা, অটো শাট-অফ, স্মার্ট টাচ কন্ট্রোল, আধুনিক ও স্টাইলিশ ডিজাইন, ছোট থেকে মাঝারি পরিবারের জন্য উপযোগী।

 

টাইপঃ ইনডাকশন এবং ইনফ্রারেড কুকার (ডুয়াল-জোন)।

ওজনঃ প্রায় ২.৫ কেজি।

ভোল্টেজঃ ২২০-২৪০ ভোল্ট।

পাওয়ারঃ ২০০০ ওয়াট।

 

Miyako TC-230-IDIF হলো একটি ডুয়াল-জোন ইলেকট্রিক স্টোভ, যা ইনডাকশন এবং ইনফ্রারেড রান্নার প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি। এটি আধুনিক রান্নাঘরের জন্য বহুমুখী এবং দক্ষতার সাথে দ্রুত রান্নার সুবিধা দেয়। এই মডেলটির ডুয়াল-জোন বৈশিষ্ট্য এটিকে আলাদা করে। ইনডাকশন জোনে চৌম্বকীয় রান্নার পাত্র এবং ইনফ্রারেড জোনে যেকোনো ধরনের পাত্র (যেমন কাচ বা সিরামিক) ব্যবহার করা যায়, যা এটিকে বিভিন্ন রান্নার জন্য বহুমুখী করে তোলে।

Miyako Infrared Cooker ATC- 22S2 

মূল বৈশিষ্ট্যঃ ২১০০ ওয়াট শক্তি, ফ্লেম-ফ্রি ইনফ্রারেড প্রযুক্তি, স্মার্ট টাচ কন্ট্রোল, সিলড বার্নার ডিজাইন, অটো শাট-অফ, ৮টি পাওয়ার লেভেল, কালো গ্লাস বডি, ১.২ মিটার পাওয়ার কর্ড, বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী ডিজাইন, সব ধরনের রান্নার পাত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

 

টাইপঃ ইনফ্রারেড কুকার।

ওজনঃ প্রায় ২.৮ কেজি।

ভোল্টেজঃ ২২০-২৪০ ভোল্ট।

পাওয়ারঃ ২১০০ ওয়াট।

 

Miyako Infrared Cooker ATC-22S2 হলো একটি শক্তিশালী সিঙ্গেল-জোন ইনফ্রারেড কুকার, যা দ্রুত, নিরাপদ এবং দক্ষ রান্নার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ইনডাকশন কুকারের বিপরীতে, এটি ইনফ্রারেড প্রযুক্তির কারণে এটি স্টেইনলেস স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম বা কাচের পাত্র সহ সব ধরনের রান্নার পাত্রের জন্য উপযুক্ত।

মূল্য: Miyako ইলেকট্রিক স্টোভের দাম সাধারণত ৫,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

Miyako হলো একটি জনপ্রিয় বাংলাদেশী হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড, যা Miyako Appliance Limited নামে একটি কোম্পানির অধীনে পরিচালিত হয়। এই ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স শিল্পে একটি শীর্ষস্থানীয় নাম হিসেবে স্বীকৃত। Miyako-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকে, যখন Ahmed Trading নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রথমে ব্যবসা শুরু করে। পরবর্তীতে এটি Hasib Electronics হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং "Miyako" নামে ব্র্যান্ডটি বাজারে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে, প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইদ্রিস মাত্র ২৪টি ব্লেন্ডার সেট দিয়ে এই ব্র্যান্ডের পথচলা শুরু করেন। আজ, Miyako ৩৬টি ক্যাটাগরিতে ৪৫০টিরও বেশি পণ্য নিয়ে বাজারে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

৩. সেরা Gazi Electric Stove

Gazi Electric Stove মানে রান্নাঘরে একটা নতুন অভিজ্ঞতা! এটা শুধু রান্না সহজ করে না, নিরাপদ আর বিদ্যুৎ বাঁচানোর দিক দিয়েও দারুণ। গাজী গ্রুপের হোম অ্যাপ্লায়েন্স শাখা থেকে তৈরি এই স্টোভগুলো ইনডাকশন আর ইনফ্রারেড প্রযুক্তি দিয়ে বানানো, যার মানে আগুন ছাড়াই রান্না। গাজী গ্রুপ তো বাংলাদেশে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে নাম করা একটা কোম্পানি, আর তাদের এই স্টোভগুলো সত্যিই ভালো মানের, টেকসই আর দামে সাশ্রয়ী। ডিজাইনের দিক থেকেও আকর্ষণীয়, আর ছোট থেকে মাঝারি পরিবারের জন্য গ্যাসের বদলে এটা একটা স্মার্ট পছন্দ।

Gazi Electric Stove - এর মডেল সমূহ

Gazi Smiss Induction & Infrared Cooker E-720

মূল বৈশিষ্ট্যঃ ২০০০ ওয়াট শক্তি, ডুয়াল-জোন (ইনডাকশন ও ইনফ্রারেড), ইনভার্টার প্রযুক্তি দিয়ে ৫০% বিদ্যুৎ সাশ্রয়, ৮৮-২৮০ ভোল্টে কাজ করে, ৮০-২৪০°C তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, স্মার্ট টাচ সেন্সর, ৬টি রান্নার ফাংশন, ক্রিস্টাল গ্লাস বডি, অটো শাট-অফ ও থার্মাল ফ্যান সুরক্ষা, দ্রুত গরম, ফ্লেম-ফ্রি রান্না।

 

টাইপঃ ডুয়াল-জোন ইনডাকশন আর ইনফ্রারেড কুকার।

ওজনঃ আনুমানিক ২.৫ কেজি।

ভোল্টেজঃ ২২০-২৪০ ভোল্ট 

তাপমাত্রাঃ ৮০-২৪০°C, যেমন খুশি সেট করা যায়।

সাইজঃ প্রায় ৪০ সেমি (লম্বা) x ৩১ সেমি (চওড়া) x ৭ সেমি (উঁচু)।

 

এটা একটা দারুণ ডুয়াল-জোন স্টোভ, যেখানে ২০০০ ওয়াট পাওয়ারে ইনডাকশন আর ইনফ্রারেড দুই প্রযুক্তি মিলেছে। ইনডাকশনে স্টিলের পাত্র আর ইনফ্রারেডে সব ধরনের পাত্র চলে। দ্রুত গরম হয়, বিদ্যুৎ বাঁচায় আর টাচ কন্ট্রোলের সাথে অটো শাট-অফ আছে। কালো গ্লাস টপে স্টাইলিশ লুক, ছোট-মাঝারি পরিবারের জন্য পারফেক্ট।

Gazi Smiss Infrared Cooker IF-S24

মূল বৈশিষ্ট্যঃ ২১০০ ওয়াট শক্তি, ইনফ্রারেড প্রযুক্তি, সব ধরনের পাত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ, স্মার্ট টাচ কন্ট্রোল, ৮০-২৪০°C তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ক্রিস্টাল গ্লাস বডি, অটো শাট-অফ সুরক্ষা, দ্রুত গরম, ফ্লেম-ফ্রি রান্না, বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী ডিজাইন, আধুনিক লুক।

 

টাইপঃ সিঙ্গেল-জোন ইনফ্রারেড কুকার।

ওজনঃ প্রায় ২.৮ কেজি।

ভোল্টেজঃ ২২০-২৪০ ভোল্ট।

পাওয়ারঃ ২১০০ ওয়াট।

তাপমাত্রাঃ ২৪০°C পর্যন্ত।

 

এই সিঙ্গেল-জোন ইনফ্রারেড কুকারটি ২১০০ ওয়াট শক্তিতে দ্রুত ও নিরাপদ রান্নার জন্য বানানো। সব ধরনের পাত্র (স্টিল, কাচ, অ্যালুমিনিয়াম) চলে। টাচ প্যানেলে ৮টা পাওয়ার লেভেল, অটো শাট-অফ আর সিলড ডিজাইন আছে। কালো গ্লাস বডি দেখতে সুন্দর, পরিষ্কার করাও সহজ।

মূল্য: Gazi ইলেকট্রিক স্টোভের দাম সাধারণত ৩,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ১১,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

Gazi বাংলাদেশের একটি নামকরা ব্র্যান্ড, যেটি গাজী গ্রুপের অধীনে পরিচালিত হয়। এই গ্রুপটি ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে কাজ করে আসছে। গাজী প্রধানত তাদের হোম অ্যাপ্লায়েন্সের জন্য জনপ্রিয়, যেমন ইলেকট্রিক স্টোভ, ফ্যান, টায়ার, আরও অনেক কিছু। তবে গাজী গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়েছিল টায়ার আর রাবার শিল্প দিয়ে, যেখান থেকে তারা "গাজী টায়ারস" নামে পরিচিতি পায়। সময়ের সাথে তারা বৈচিত্র্য আনে এবং গাজী হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস নিয়ে আসে, যেটা এখন বাংলাদেশের বাজারে একটা বড় নাম।

সেরা Electric Stove মডেলের তুলনা

মডেল

Philips HD-4929

Miyako TC-230-IDIF

Gazi E-720 Smiss

ব্র্যান্ড

Philips

Miyako

Gazi

দাম (টাকা)

৬,৮৯০

৮,৯৯০

১০,০৩২

মূল বৈশিষ্ট্য

২১০০ ওয়াট, টাচ কন্ট্রোল, ৮ পাওয়ার লেভেল, ফ্লেম-ফ্রি ইনডাকশন, সিলড বার্নার, অটো শাট-অফ

ডুয়াল-জোন (ইনডাকশন+ইনফ্রারেড), স্মার্ট টাচ, ওভারহিট সুরক্ষা, ফ্লেম-ফ্রি, দ্রুত গরম

ডুয়াল-জোন (ইনডাকশন+ইনফ্রারেড), ইনভার্টার প্রযুক্তি, ৬ ফাংশন, স্মার্ট টাচ, বিদ্যুৎ-সাশ্রয়

টাইপ

ইনডাকশন কুকার

ইনডাকশন + ইনফ্রারেড

ইনডাকশন + ইনফ্রারেড

ভোল্টেজ

২২০-২৪০ V

২২০-২৪০ V

৮৮-২৪০ V

পাওয়ার

২১০০ W

২০০০ W

২০০০ W

উৎপত্তি

নেদারল্যান্ডস

বাংলাদেশ

বাংলাদেশ

বাংলাদেশের জন্য সেরা Electric Stove সুপারিশ

বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা ইলেকট্রিক স্টোভ নির্বাচনে দাম, ফিচার, নিরাপত্তা এবং ব্যবহারিক সুবিধার দিকগুলো বিবেচনা করা হয়েছে। তিনটি মডেলের মধ্যে Miyako TC-230-IDIF সবচেয়ে উপযোগী। 

৮,৯৯০ টাকায় আপনি পাচ্ছেন ডুয়াল-জোন প্রযুক্তি (ইনডাকশন + ইনফ্রারেড), যার মানে – সব ধরনের পাত্রেই রান্না সম্ভব। এতে আছে ওভারহিট সুরক্ষা, স্মার্ট টাচ কন্ট্রোল, আর শক্তিশালী ২০০০ ওয়াট হিটিং – যা রান্নাকে করে দ্রুত, সহজ আর নিরাপদ। Miyako একটি স্থানীয় ব্র্যান্ড হওয়ায় সার্ভিসিং, খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া সহজ এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি দারুণ ভরসা দেয়।

বাজেট কম হলে Philips HD-4929 (৳৬,৮৯০) হতে পারে দুর্দান্ত অপশন। ২১০০ ওয়াট শক্তি ও ৮টি পাওয়ার লেভেলের মাধ্যমে রান্নায় নিয়ন্ত্রণ ও দ্রুততা দেয়, যেখানে অটো শাট-অফ ফিচার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং Philips একটি বিশ্বস্ত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হওয়ায় গুণমানের নিশ্চয়তা রয়েছে। তবে এটি শুধু ইনডাকশন প্রযুক্তির হওয়ায় কেবল চৌম্বকীয় পাত্রে কাজ করে, যা বাংলাদেশের অনেক পরিবারের জন্য সীমাবদ্ধতা হতে পারে।

উন্নত ফিচার আর বিদ্যুৎ সাশ্রয় দরকার? তাহলে Gazi E-720 Smiss (৳১০,০৩২) বিবেচনায় রাখতে পারেন। ইনভার্টার প্রযুক্তি, ডুয়াল-জোন কুকিং আর ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশনেও চলার ক্ষমতা – যাদের এলাকায় বিদ্যুৎ সমস্যা থাকে, তাদের জন্য এটা ভালো অপশন। তবে দাম সবচেয়ে বেশি।

সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, Miyako TC-230-IDIF - দাম, ফিচার, নিরাপত্তা এবং ব্যবহারিক সুবিধার ভারসাম্য রক্ষা করে বাংলাদেশের ছোট থেকে মাঝারি পরিবার, যাদের চাই একসাথে বহুমুখী সুবিধা, তাদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে সেরা ইলেকট্রিক স্টোভ।

বাংলাদেশে ইলেকট্রিক স্টোভ এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ডসমূহের তুলনা

বাংলাদেশে ইলেকট্রিক স্টোভের বাজারে কয়েকটা নামকরা ব্র্যান্ড আছে, যারা তাদের ফিচার, কোয়ালিটি আর দামের জন্য পরিচিত। নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেওয়া হলো:

ব্র্যান্ড

পরিচিতি

গুণগত মান

বাজারমূল্য

Philips

আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত, টেকসই ও নির্ভরযোগ্য

প্রিমিয়াম, দীর্ঘস্থায়ী, নিরাপদ

মাঝারি থেকে উচ্চ

Miyako

স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়, বৈচিত্র্যময় মডেল

ভালো মানের, ফিচার-সমৃদ্ধ, ইউজার-ফ্রেন্ডলি

মাঝারি

Gazi

বাংলাদেশে শক্তিশালী বাজার উপস্থিতি, আধুনিক ফিচারসহ

নির্ভরযোগ্য, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, ইনভার্টার টেক

মাঝারি থেকে উচ্চ

কাস্টমার রিভিউ ও ফিডব্যাক

★★★★★

"আমি গত চার মাস ধরে Philips HD-4929 ব্যবহার করছি। এটার দাম একটু বেশি হলেও পারফরম্যান্স দারুণ। ২১০০ ওয়াট শক্তি আর ৮টা পাওয়ার লেভেল থাকায় রান্নায় অনেক নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যায়। অটো শাট-অফ ফিচারটা নিরাপত্তার জন্য বেশ ভালো। ডিজাইনটা আধুনিক আর পরিষ্কার করাও সহজ। তবে শুধু স্টিলের পাত্রে কাজ করে, এটা একটু ঝামেলার।"

– সাদিয়া রহমান, ঢাকা

Source: Daraz

★★★★★

"আমার বাসায় Miyako TC-230-IDIF প্রায় তিন মাস ধরে চলছে। এটার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ডুয়াল-জোন ফিচার, যে কারণে সব ধরনের পাত্র ব্যবহার করা যায়। ২০০০ ওয়াট শক্তি দিয়ে রান্না দ্রুত হয়, আর ওভারহিট সুরক্ষা থাকায় মনটা শান্ত থাকে। দামের তুলনায় ফিচার ভালো, আর দেশি ব্র্যান্ড হওয়ায় সার্ভিসও পেয়েছি সহজে।"

– মাহমুদুল হাসান, সিলেট

Source: Rokomari

★★★★★

"Gazi E-720 Smiss আমি দুই মাস আগে কিনেছি। এটার ইনভার্টার প্রযুক্তি বিদ্যুৎ বাঁচায়, আর ডুয়াল-জোন থাকায় সব পাত্রে চলে। ২০০০ ওয়াট শক্তি আর ৬টা ফাংশন রান্নায় বৈচিত্র্য দেয়। দামটা একটু বেশি, তবে বিদ্যুৎ কম খরচ আর ভোল্টেজের ওঠানামায়ও ভালো কাজ করে। আমার এলাকায় এটা বেশ কাজের।"

– নুসরাত জাহান, রাজশাহী

Source: Daraz

ইলেকট্রিক স্টোভ আধুনিক রান্নাঘরের জন্য একটি নতুন রূপ এবং এর সুবিধাগুলি প্রতিদিনই মানুষকে আকৃষ্ট করছে। এটি গ্যাসের স্টোভের তুলনায় নিরাপদ, দ্রুত এবং শক্তি সাশ্রয়ী। যদিও কিছু অসুবিধা রয়েছে, তবে এর সুবিধাগুলো অনেক বেশি। দ্রুত রান্না, সহজ ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব প্রকৃতির কারণে ইলেকট্রিক স্টোভ বর্তমান রান্নাঘরের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে। যারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ পছন্দ।