
লাইফস্টাইল ক্রমশ আরও স্মার্ট হয়ে উঠছে, অন্যদিকে হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস মানসম্পন্ন জীবনযাত্রায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করছে। আধুনিক জীবনযাত্রায় রান্নাঘরের যন্ত্রপাতি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক ওভেন রান্নাঘরের অপরিহার্য একটি উপকরণ হয়ে উঠেছে। এটি কেবলমাত্র খাবার গরম করাই নয়, বরং বেকিং, গ্রিলিং এবং রোস্টিংয়ের মতো বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
ইলেকট্রিক ওভেন কি এবং কিভাবে কাজ করে?
ইলেকট্রিক ওভেন হলো এমন একটি যন্ত্র যা বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে খাবার রান্না, গরম করা বা বেক করার কাজ করে। এটি ঐতিহ্যবাহী গ্যাস ওভেনের বিকল্প হিসেবে কাজ করে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশি নির্ভুলতা প্রদান করে।
ইলেকট্রিক ওভেনের ভিতরে হিটিং এলিমেন্ট থাকে, যা বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে উত্তপ্ত হয়। এই হিটিং এলিমেন্টগুলো সাধারণত ধাতব তার বা রডের তৈরি হয়ে থাকে। হিটিং এলিমেন্টগুলো উত্তপ্ত হয়ে তাপ উৎপন্ন করে। এই তাপ ওভেনের ভেতরের বাতাসকে গরম করে তোলে।
উৎপন্ন তাপ ওভেনের ভেতরে থাকা খাবারকে চারদিক থেকে গরম করে। এর ফলে খাবার সমানভাবে রান্না হয়। কিছু ওভেনে ফ্যান থাকে, যা গরম বাতাসকে চারদিকে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে, ফলে রান্না আরও দ্রুত এবং সমানভাবে হয়।
দৈনন্দিন জীবনে ইলেকট্রিক ওভেনের গুরুত্ব
আজকাল ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচানোর জন্য আমরা সবাই দ্রুত এবং কার্যকর সমাধান খুঁজি। ইলেকট্রিক ওভেন শুধু রান্নার সময় কমায় না, বরং খাবারের পুষ্টিগুণও ধরে রাখে। এর বহুবিধ ব্যবহার এবং সুবিধা একে অপরিহার্য করে তুলেছে। নিচে ইলেকট্রিক ওভেনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো:
১. সহজ রান্না
ইলেকট্রিক ওভেন ব্যবহার করা খুব সহজ। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং টাইমার সেট করার সুবিধা থাকায় রান্না করা অনেক সহজ হয়ে যায়। এটি বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন- কেক, বিস্কুট, পিৎজা, রোস্ট ইত্যাদি তৈরি করতে সাহায্য করে।
২. স্বাস্থ্যকর খাবার
ইলেকট্রিক ওভেনে তেল ব্যবহার না করেও রান্না করা যায়, যা স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরিতে সহায়ক। এটি খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. সময় সাশ্রয়
ইলেকট্রিক ওভেনে রান্না দ্রুত হয়, যা ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচাতে সাহায্য করে।
৪. বহুমুখী ব্যবহার
ইলেকট্রিক ওভেন শুধু রান্নার জন্যই নয়, দ্রুত খাবার গরম করা, গ্রিলিং এবং রোস্টিং, বেকিং ইত্যাদি কাজেও ব্যবহার করা যায়।
৫. নিরাপত্তা
গ্যাস ওভেনের তুলনায় ইলেকট্রিক ওভেন ব্যবহার করা অনেক নিরাপদ। এতে গ্যাস লিক হওয়ার কোনো ঝুঁকি থাকে না।
৬. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
ইলেকট্রিক ওভেনের বিশেষ সুবিধা হলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নির্ভুলতা প্রদান করে।যার কারণে খাবার পুড়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত সিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
Best Air Fryer - বাংলাদেশে Air Fryer এর জনপ্রিয়, উন্নত এবং সেরা মডেল ও ব্র্যান্ডসমূহ
বাংলাদেশের বাজারেও বিশ্ববিখ্যাত ব্রান্ডের ইলেকট্রিক ওভেন পাওয়া যায়। নিম্নে কয়েকটি ভালো ভালো ব্র্যান্ডের পরিচিতি, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা এবং বাজারমূল্য তুলে ধরা হলোঃ
১. Panasonic Electric Oven
প্যানাসোনিক একটি জাপানি বহুজাতিক কোম্পানি, যা উন্নত মানের হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদনে বিশ্বখ্যাত। তাদের ইলেকট্রিক ওভেনগুলো স্মার্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি, মাল্টি-স্টেজ কুকিং, টার্নটেবিল ফাংশন সহ আসে, যা রান্নার সময় ও শক্তি সাশ্রয় করে। প্যানাসনিক বিভিন্ন মডেলের ইলেকট্রিক ওভেন বাজারে এনেছে।
Panasonic Electric Oven - এর মডেল সমূহ
Panasonic 27 Ltr NN-CT65 |
বেক, গ্রিল, রোস্ট ও পুনরায় গরম করার সুবিধা ক্যাপাসিটিঃ ২৭ লিটার পাওয়ারঃ ৯০০ ওয়াট
|
Panasonic Microwave Oven 20Ltr. (NN-SM255WVTG) |
বেক রোস্ট ও পুনরায় গরম করার সুবিধা ক্যাপাসিটিঃ ২০ লিটার পাওয়ারঃ ৮০০ ওয়াট Overheat Protection থাকায় খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। এই মডেলের ওভেন মাঝারি পরিবারের জন্য উপযোগী। |
২. Philips Electric Oven
এটি একটি বিশ্বখ্যাত ডাচ ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি, যা ১৮৯১ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রতিষ্ঠিত হয়। হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রযুক্তিতে এই কোম্পানি বিশেষভাবে পারদর্শী।
ফিলিপসের ইলেকট্রিক ওভেন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য পরিচিত। তাদের ওভেনগুলোতে কনভেকশন প্রযুক্তি, রোটিসারি ফাংশন, প্রিসেট কুকিং অপশন এবং এনার্জি-সেভিং ফিচার থাকে, যা দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকর রান্নার অভিজ্ঞতা দেয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ফিলিপস ইলেকট্রিক ওভেন প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
Philips Electric Oven - এর মডেল সমূহ
Philips Digital Oven Toast Grill 55L |
বেকারির জন্য বেশি ব্যবহৃত হয়। ক্যাপাসিটিঃ ৫৫ লিটার পাওয়ারঃ ২০০০ ওয়াট ১১টি কাস্টমাইজ প্রিসেট মেনু থাকায় খাবারের সর্বত্র তাপমাত্রা পৌঁছানো যায় বিধায় স্বাস্থ্যকর রান্না করা যায়। এর মাধ্যমে ক্রিসপি স্ন্যাকস ও তন্দুরিও বানানো যায়।
|
৩. Miyako Electric Oven
মিয়াকো বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড। এদের ইলেকট্রিক ওভেনগুলোর দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। ওভেনগুলো ব্যবহারবান্ধব এবং মাল্টিফাংশনাল বিশেষ করে, বেকিং, গ্রিলিং এবং টোস্টিং এর জন্য মিয়াকো ওভেন একটি ভালো চয়েস।
Miyako Electric Oven - এর মডেল সমূহ
Electric Oven MT-100RCL |
বেকিং এবং গ্রিলিং করা যায় সহজেই ক্যাপাসিটিঃ ১০০ লিটার পাওয়ারঃ ২৪০০ ওয়াট Convection এবং Rotisserie Functions সুবিধা। এটি ১০০-২৫০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা প্রদান করতে পারে। বড় পরিবারের জন্য ভালো অপশন |
MT-827RCL-BLKRB(27L) |
বিস্কুট, পেস্ট্রি, পিজ্জা মাছ-মুরগি গ্রিলিং ইত্যাদি সুবিধা ক্যাপাসিটিঃ ২৭ লিটার পাওয়ারঃ ১৫০০ ওয়াট Overheat Protection থাকায় খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। এই মডেলের ওভেন মাঝারি পরিবারের জন্য উপযোগী। |
MT-40-FRENCH-RCL |
বিস্কুট, পেস্ট্রি, পিজ্জা মাছ-মুরগি গ্রিলিং ইত্যাদি সুবিধা ক্যাপাসিটিঃ ৪০ লিটার পাওয়ারঃ ১৬০০ ওয়াট ৭০-২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রদান করতে পারে। এই মডেলের ওভেন বড় পরিবারের জন্য উপযোগী। |
৪. Walton Electric Oven
ওয়ালটন বাংলাদেশের স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা উচ্চমানের ইলেকট্রনিক্স এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স তৈরি করে। ওয়ালটনের ইলেকট্রিক ওভেনগুলোতে ডিজিটাল কন্ট্রোল প্যানেল, কুইক হিটিং সিস্টেম, এনার্জি ইফিশিয়েন্ট টেকনোলজি এবং বড় ক্যাপাসিটির সুবিধা রয়েছে। তাদের পণ্যগুলো বাংলাদেশে সহজলভ্য এবং সাধ্যের নাগালে।
Walton Electric Oven - এর মডেল সমূহ
WMWO-W30GPE |
মাল্টি-ফাংশনাল, স্মার্ট OLED টাচ স্ক্রিন, ৯টি অটো কুকিং মেনু ক্যাপাসিটিঃ ৩০ লিটার পাওয়ারঃ ১৪৪০ ওয়াট এই মডেলটি স্টাইলিশ ও ব্যবহারবান্ধব। রান্নার সুবিধার্থে পাওয়ার লেভেল ঠিক করে নেয়া যায়। |
WMWO-25GDE |
৮টি প্রিসেট মোড এবং মাল্টি স্টেজ কুকিং ফাংশন ক্যাপাসিটিঃ ২৫ লিটার পাওয়ারঃ ১৪০০ ওয়াট চাইল্ড লক সেফটি রয়েছে। Quick start এবং Speedy cooking সিস্টেম রয়েছে। স্মার্ট ডিসপ্লে এবং টাইমার সুবিধা পাওয়া যায়।
|
৫. Vision Electric Oven
ভিশন ইলেকট্রনিক্স, আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মার্চ ২০১৩ সালে ব্যবসা শুরু করে। ভিশন ইলেকট্রনিক্স বিশ্বমানের ইউরোপীয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করেছে। ভিশন ব্র্যান্ড বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স কোম্পানি। এদের ইলেকট্রিক ওভেন সাশ্রয়ী মূল্যের, সহজ ব্যবহারযোগ্য, এবং উচ্চমানের পারফরম্যান্স প্রদান করে। গ্রিলিং, বেকিং, এবং টোস্টিং সুবিধাসহ ভিশনের ওভেন বাংলাদেশি বাজারে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
Vision Electric Oven - এর মডেল সমূহ
Vision MA-20B Microwave Oven 20Ltr |
মুরগি ও অন্যান্য মাংস গ্রিল করার জন্য বিশেষ ফিচার। ক্যাপাসিটিঃ ২০ লিটার পাওয়ারঃ ১০৫০ ওয়াট তাপমাত্রা সহনশীল স্বচ্ছ গ্লাস ডোর এবং ১০০°С থেকে ২৫০°С পর্যন্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সুবিধা। |
VISION Microwave Oven RAC 30 Liter Rotisserie |
১০টি প্রিসেট মোড এবং মাল্টি স্টেজ কুকিং ফাংশন ক্যাপাসিটিঃ ৩০ লিটার পাওয়ারঃ ১৪০০ ওয়াট চাইল্ড লক সেফটি রয়েছে। Quick start এবং Speedy cooking সিস্টেম রয়েছে। স্মার্ট ডিসপ্লে এবং টাইমার সুবিধা পাওয়া যায়।
|
৬. Sharp Electric Oven
শার্প একটি জাপানি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড, যা উন্নত প্রযুক্তি এবং টেকসই পণ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তাদের ইলেকট্রিক ওভেনগুলো স্মার্ট ইনভার্টার, গ্রিল ও কনভেকশন টেকনোলজি, মাল্টি-স্টেজ কুকিং ও টাচ কন্ট্রোল সুবিধাযুক্ত, যা আধুনিক রান্নার সহযোগী। বাংলাদেশে শার্পের Electric Oven বেশ জনপ্রিয়।
Sharp Electric Oven - এর মডেল সমূহ
Sharp Oven 34 Ltr. (R-77ATR-ST) |
উন্নত প্রযুক্তি, যা খাবার সমানভাবে রান্না করতে সাহায্য করে। ক্যাপাসিটিঃ ৩০ লিটার পাওয়ারঃ ১০০০ ওয়াট সহজেই টেম্পারেচার ও টাইম সেট করা যায় এবং বিভিন্ন রেসিপির জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। |
Sharp Oven 25 Ltr. (R-75MT-S) |
৬টি অটো কুকিং ফাংশন এবং টাইমার ফাংশন। ক্যাপাসিটিঃ ২৫ লিটার পাওয়ারঃ ৯০০ ওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং চাইল্ড লক সুবিধা রয়েছে। শক্তিশালী ডোর ও স্টেইনলেস স্টিল হওয়ায় দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার নিশ্চিত করে |
৭. Conion Electric Oven
কনিয়ন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড, যা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহ করে। কনিয়ন ইলেকট্রিক ওভেনগুলোর রোটিসারি ফাংশন, মাল্টি-কুকিং অপশন, গ্রিল ও কনভেকশন ফিচার রয়েছে, যা রান্নাকে সহজ ও কার্যকর করে তোলে। বাংলাদেশে যারা বাজেট-বান্ধব ওভেন খুঁজছেন, তাদের জন্য কনিয়ন একটি ভালো বিকল্প।
Conion Electric Oven - এর মডেল সমূহ
Conion BE 240WG |
বেকিং, গ্রিলিং, রোস্টিং এবং টোস্টিং এর জন্য আদর্শ। ক্যাপাসিটিঃ ২৪ লিটার পাওয়ারঃ ১৩৫০ ওয়াট Tempered Glass Door হওয়ায় তা ফেটে যাওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। ১০০°C থেকে ২৫০°C পর্যন্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। |
Conion BE – 309ZW |
Overheating Protection এবং Auto Cooking সুবিধা ক্যাপাসিটিঃ ৩০ লিটার পাওয়ারঃ ১৪০০ ওয়াট মাল্টিস্টেজ কুকিং সিস্টেম এবং চাইল্ড লক সুবিধা রয়েছে। আরও রয়েছে লো পাওয়ার কনজাম্পশন সুবিধা |
৮. Hisense Electric Oven
হাইসেন্স একটি চীনা ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড, যা বিশ্বব্যাপী টিভি, রেফ্রিজারেটর ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের জন্য পরিচিত। হাইসেন্সের ইলেকট্রিক ওভেনগুলো এনার্জি-এফিসিয়েন্ট, স্মার্ট সেন্সর প্রযুক্তি, মাল্টি-কুকিং মোড ও ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ, যা কুকারদের জন্য সুবিধাজনক করে তোলে। বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তির ইলেকট্রিক ওভেন খুঁজছেন এমন ব্যবহারকারীদের জন্য হাইসেন্স একটি ভালো অপশন হতে পারে।
Hisense Electric Oven - এর মডেল সমূহ
Hisense 20L Solo MWO with Grey Cavity | H20MOBS2H |
বিভিন্ন ধরনের খাবারের জন্য অটোমেটিক সেটিংস (পিজ্জা, কেক, চিকেন গ্রিল ইত্যাদি) ক্যাপাসিটিঃ ২০ লিটার পাওয়ারঃ ৭০০ ওয়াট অটোমেটিক শাটডাউন ও ওভারকুকিং প্রতিরোধের জন্য নির্দিষ্ট সময় সেট করার সুবিধা। |
Hisense 25L Solo MWO with Grey Cavity | H25MOBS5H |
Overheating Protection এবং Auto Cooking সুবিধা ক্যাপাসিটিঃ ২৫ লিটার পাওয়ারঃ ৮৫০ ওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, যা খরচ কমায়। অ্যান্টি-হিট হ্যান্ডেল ও ডাবল গ্লাস ডোর যা তাপ ধরে রাখে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। |
সেরা Electric Oven মডেলের তুলনা
মডেল |
মূল বৈশিষ্ট্য |
ক্যাপাসিটি / পাওয়ার |
দাম (টাকা) |
সুবিধা / অসুবিধা |
Panasonic 27 Ltr NN-CT65 |
Multiple Select, Timer, Steam Cook, Reheat, Auto Cook Menu, Cooking Completion Indicator, Child Lock, Overheat Protection |
২৭ লিটার / ৯০০ ওয়াট |
১৮,০০০-২০,০০০ |
সুবিধা: উন্নত প্রযুক্তি, বড় পরিবারের জন্য অসুবিধা: দাম বেশি |
Philips Digital Oven Toast Grill 55L |
Opti-temp technology, Convection, Child lock |
৫৫ লিটার / ২০০০ ওয়াট |
৪৩,০০০-৪৫,০০০ |
সুবিধা: পিজ্জা, ব্রেড তৈরীর জন্য আলাদা মোড অসুবিধা: দাম বেশি |
Miyako Electric Oven MT-100RCL |
Convection and Rotisserie Functions |
১০০ লিটার / ২৪০০ ওয়াট |
২৪,০০০-২৬,০০০ |
সুবিধা: Temperature Range বেশি অসুবিধা: বিদ্যুৎ খরচ বেশি |
Walton WMWO-W30GPE |
Multi-function Oven, Express Cook options |
৩০ লিটার / ১৪৪০ ওয়াট |
১৭,০০০-১৯,০০০ টাকা |
সুবিধা: স্বচ্ছ কাচের দরজা অসুবিধা: দাম মাঝারি থেকে বেশি |
Vision MA-20B Microwave Oven 20Ltr |
cooking timer Cooking end signal Defrost |
২০ লিটার / ১০৫০ ওয়াট / |
৯,০০০-১০,০০০ টাকা |
সুবিধা: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী |
ইলেকট্রিক ওভেন কেনার আগে বিবেচ্য বিষয়সমূহ
বাজারে বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রিক ওভেন পাওয়া যায়।ওভেন কেনার আগে আপনার চাহিদা এবং বাজেট বিবেচনা করা জরুরি। ওভেন কেনার আগে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়সমূহঃ
ধারণক্ষমতা: পরিবারের সদস্যসংখ্যা এবং রান্নার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ওভেনের ধারণক্ষমতা নির্বাচন করুন। ওভেনের ক্ষমতা লিটারে মাপা হয়। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক লিটারের ওভেন বেছে নিন। ছোট পরিবার হলে কম লিটারের এবং বড় পরিবার বা রেস্টুরেন্ট হলে তুলনামূলক বেশি লিটারের ওভেন বেছে নিন।
শক্তি: উচ্চ ওয়াটেজের ওভেন দ্রুত তাপ প্রদান করতে সক্ষম, তবে বিদ্যুৎ খরচও বেশি হতে পারে। বিদ্যুৎ বিল কমাতে এনার্জি-সেভিং মডেল দেখুন।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: বিভিন্ন ধরনের রান্নার জন্য বিভিন্ন তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়, তাই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সুবিধা থাকা ওভেন বেছে নিন।
ফিচার এবং ফাংশন: আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচার আছে এমন ওভেন বেছে নিন।কনভেকশন, রোটিসারি, গ্রিলিং ইত্যাদি ফাংশন রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
নিরাপত্তা: নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যেমন - স্বয়ংক্রিয় বন্ধ হওয়া, তাপ প্রতিরোধী দরজা ইত্যাদি আছে কিনা দেখে নিন।
মূল্য এবং ওয়ারেন্টি: বাজেটের মধ্যে সেরা মানের ওভেন নির্বাচন করুন। ওয়ারেন্টি এবং বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে জেনে নিন।
ব্র্যান্ড সুনাম এবং রিভিউ: বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের এবং ভালো রিভিউ দেখে ওভেন নির্বাচন করুন, যা দীর্ঘস্থায়ী এবং কার্যকর।
পরিচ্ছন্নতা: সহজে পরিষ্কারযোগ্য ডিজাইন পছন্দ করুন। ভেতরের অংশ নন-স্টিক হলে পরিষ্কার করতে সুবিধা হয়।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে ইলেকট্রিক ওভেন কিনলে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ভালো মানের ওভেন কিনতে পারবেন।
ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত: সেরা ইলেকট্রনিক ওভেন সুপারিশ
হোম এপ্লাইয়েন্স বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের বাজারে Panasonic 27 Ltr NN-CT65 মডেলটি অন্যতম সেরা। এই মডেলটি বেকিং এবং গ্রিলিংয়ের জন্য অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। কনভেকশন ফ্যানের কারণে তাপ সমানভাবে ছড়ায়, যা কেক বা পিৎজার মতো খাবারে সেরা ফল দেয়। এই ওভেনটি গুণগত মান এবং মজবুত হওয়ায় গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয়। তবে দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় এটি মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সাধ্যের বাইরে যেতে পারে।
সেক্ষেত্রে Walton WEO-R28D - 28L এই মডেলের ওভেন ব্যবহার করা যেতে পারে। এই মডেলটি সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফিচার দেয়, বিশেষ করে রোটিসারি ফাংশনটি মাংস রোস্ট করার জন্য দারুণ।
গ্রাহকদের রিভিউ ও ফিডব্যাক
★★★★★
"আমি Panasonic NB-H3800SSK - 35L ওভেনটা Daraz থেকে কিনেছি, আর ডেলিভারি পেয়েছি মাত্র ৩ দিনে। বেকিংয়ের জন্য এটা দারুণ! গত মাসে কেক আর কুকিজ বানিয়েছি, তাপ সমানভাবে ছড়ায়, ফলাফল একদম পারফেক্ট। ডিজিটাল টাইমারটা খুব সুবিধাজনক।"
– শারমিন, ঢাকা
Source: Daraz
★★★★
“ছোট পরিবারের জন্য Walton WEO-R28D - 28L মডেলটি পারফেক্ট। দাম কম, আর সার্ভিস সেন্টারে সাপোর্ট ভালো পেয়েছি। গ্রাহক হিসেবে সন্তুষ্ট, তবে বড় পার্টি বা বেকিংয়ের জন্য এটা সেরা নয়।
— রাকিব, চট্টগ্রাম
Source: Walton website
★★★★★
” The design of this Sharp oven is very modern, and its large capacity makes it convenient for cooking large quantities of food. The convection feature delivers great results in baking. However, considering the price, it could have included more smart features."
Source: Amazon
উপসংহারঃ সঠিক ইলেকট্রিক ওভেন নির্বাচন আপনার রান্নার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ এবং আনন্দদায়ক করতে পারে। উপরের তালিকাভুক্ত মডেলগুলো বিবেচনা করে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ওভেনটি নির্বাচন করতে পারেন।