বাংলাদেশের একটি বড় প্রধান সমস্যা হচ্ছে বেকার সমস্যা। আরও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষিত বেকার। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর কয়েক লাখ ছাত্র-ছাত্রী পাশ করে বের হচ্ছে, কিন্তু পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাবে মিলছে না চাকরি নামক সোনার হরিণ । দিনে দিনে এই সমস্যা জটিল ও প্রকট আকার ধারণ করেছে। যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশের অর্থনীতির জন্য বোঝাস্বরূপ।
এই বড় সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে অনলাইন ব্যবসা। লাভজনক বিধায় এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে, বড় হচ্ছে মার্কেটপ্লেস। অনলাইনে ব্যবসা করার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রচুর কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে এবং তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদোক্তা।
এখানে আমরা সেরা ২০টি অনলাইন ব্যবসার তালিকা তুলে ধরছি, যা আগামী ২০২৫ সালের জন্য লাভজনক হতে পারে এবং আপনার নিজস্ব অনলাইন ব্যবসা গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে।
২০টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া:
- ড্রপশিপিং বা রিসেলিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ব্লগিং
- ই-কমার্স স্টোর
- ডিজিটাল চিত্রকর্ম বিক্রি
- অনলাইন ট্রেনিং সেন্টার
- সাইবার সিকিউরিটি কন্সালটেন্ট
- ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি
- সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
- ফ্রিল্যান্সিং
- কেডিপি বা ই-বুক বিক্রি
- ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক ডিজাইন সার্ভিস
- প্রুফ রিডিং সার্ভিস
- ফ্যাক্ট চেকিং
- অনলাইন সফটওয়্যার লাইসেন্স অথবা টুলস বিক্রি
- ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
- পডকাস্ট
- মেডিকেল স্ক্রাইব
1. ড্রপশিপিং বা রিসেলিং
ড্রপশিপিং হল একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একটি অনলাইন স্টোর থেকে কেনা পণ্য সরবরাহকারী বা প্রস্তুতকারকের দ্বারা সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পাঠানো হয়। এখানে বিক্রেতা কোনো পণ্য সরাসরি নিজের কাছে রাখে না। ক্রেতা যখন কোনো পণ্য কিনে, তখন বিক্রেতা সেই অর্ডার সরবরাহকারীর কাছে পাঠায়। সরবরাহকারী সরাসরি ক্রেতার কাছে পণ্যটি ডেলিভারি করে।
ড্রপশিপিং করতে হলে আপনাকে আগে সরবরাহকারী বা উৎপাদনকারীর সাথে একটা চুক্তি করে নিতে হবে এবং একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম (যেমন Shopify, WooCommerce) ব্যবহার করে একটি অনলাইন স্টোর খুলতে হবে। আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পণ্যগুলো তালিকাভুক্ত করবেন।
কাস্টমার থেকে যখন অর্ডার আসবে তখনই আপনি সেই অর্ডার ডিটেইলস সাপ্লায়ার বা উৎপাদনকারীকে পাঠাবেন। তারা সেই প্রোডাক্ট প্যাকেজিং করে কাস্টমারের কাছে পাঠিয়ে দিবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার কোম্পানির নাম এবং কোম্পানির লোগোই ব্যবহৃত হবে।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- কোনো পণ্য স্টক করতে হয় না, তাই কম পুঁজিতে ব্যবসা করা যায়।
- যে কোনো জায়গা থেকে ব্যবসা পরিচালনা করা যায়।
- প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ায় লাভের মার্জিন কম।
- পণ্য পৌঁছাতে বেশি সময় লাগতে পারে।
২০২৫ সালের ড্রপশিপিং এর বাজার পরিসংখ্যান
২০২৫ সালে ড্রপশিপিং বাজার আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Allied Market Research-এর মতে, 2025 সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ই-কমার্স বিক্রয় $7.4 ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে, যা ড্রপশিপিং ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ই-কমার্স নিয়ে আগ্রাহী এবং যারা কম পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে চায় এমন ব্যক্তিদের জন্য ড্রপশিপিং একটি ভালো মাধ্যম। বাড়তি আয়ের উৎস হিসাবে ছাত্র-ছাত্রীরা পার্টটাইম ড্রপশিপিং করতে পারেন। ড্রপশিপিং সফল হতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে এবং কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।
2. কন্টেন্ট রাইটিং
কন্টেন্ট রাইটিং বলতে ক্লায়েন্টের দেয়া কিওয়ার্ড বা একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখা-লেখির মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পাঠকদের আকর্ষণ করা, তথ্য উপস্থাপন অথবা একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা।
কন্টেন্ট রাইটিং একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া। কন্টেন্ট রাইটারকে বিষয়বস্তু বা লক্ষ্য নির্ধারণ করে তার উপর গভীর গবেষণা এবং সঠিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে হয়। গবেষণা করা তথ্যের ভিত্তিতে একটি আকর্ষণীয় এবং সহজবোধ্য আর্টিকেল তৈরি করা হয়।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- কন্টেন্টের মাধ্যমে পণ্য বা সেবার প্রতি গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়িয়ে বিক্রয় বৃদ্ধি করা যায়।
- ঘড়ে বসেই দেশী-বিদেশী কোম্পানির সাথে কাজ করা যায়।
- নতুন ও আকর্ষণীয় বিষয় নির্বাচন করা অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়।
- সঠিকভাবে SEO অপ্টিমাইজ না করলে কন্টেন্ট কার্যকর হয় না।
২০২৫ সালের কন্টেন্ট মার্কেটিং এর বাজার পরিসংখ্যান
২০২৫ সালের মধ্যে ৭০% ব্যবসা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যেখানে কন্টেন্ট রাইটিং প্রধান ভূমিকা পালন করবে। Grand View Research এর মতে, “২০২৫ সালের মধ্যে কন্টেন্ট মার্কেটিং শিল্পের বাজার ৪১৭.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করবে।”
শিক্ষার্থী, ডিজিটাল মার্কেটার, ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন পেশার মানুষ এ ব্যবসাটিকে বেছে নিiতে পারেন।
3. ব্লগিং
ব্লগিং হলো ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত বা পেশাগত উদ্দেশ্যে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নিয়মিত লেখা বা আর্টিকেল প্রকাশ করা। যারা ব্লগ লেখে তাদের ব্লগার বলা হয়। ব্লগ লেখার মাধ্যমে টাকা আয়ও করা যায়। গুগল এডসেন্স, এফিলেয়েট মার্কেটিংসহ বিভিন্ন উপায়ে ব্লগের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। ব্লগিং এর জন্য প্রয়োজন লেখালেখির দক্ষতা, পাঠকদের আকৃষ্ট করার ক্ষমতা।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- নিজের মতো করে লিখতে এবং মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা পাওয়া যায়।
- ব্লগিং শুরু করতে অনেক বেশি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।
- এ সেক্টরে প্রচুর প্রতিযোগিতা।
- এর জন্য কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন। যেমন,- SEO, ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি জানা জরুরি।
4. ই-কমার্স স্টোর
ই-কমার্স স্টোর হলো একটি অনলাইন দোকান যেখানে পণ্য বা সেবা বিক্রি করা হয়।
ই-কমার্স স্টোর এর জন্য প্রথমে একটি প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে। ই-কমার্স ষ্টোরের জন্য Shopify, WooCommerce, BigCommerce ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয়। এটি নিজস্ব কাস্টম-ডেভেলপড সাইটও হতে পারে।
এরপর ক্যাটাগরি অনুযায়ী পণ্যগুলির বিস্তারিত তথ্য, ছবি এবং দাম সহ ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। ক্রেতাদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন রাখা হয়। পণ্য ডেলিভারি করার জন্য কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবস্থা রাখা হয়।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- দেশ বা দেশের বাইরে পণ্য বিক্রির সুযোগ।
- ফিজিক্যাল স্টোরের তুলনায় পরিচালন ব্যয় অনেক কম।
- যেকোনো সময় কেনাকাটা করা যায়।
- সার্ভার ডাউন, পেমেন্ট গেটওয়ে সমস্যার কারণে ক্রেতারা সমস্যায় পড়তে পারেন।
- প্রতিযোগিতা অনেক বেশি এবং অনেক সময় সময়মতো পণ্য পৌঁছানো যায় না।
২০২৫ সালের ই-কমার্স এর বাজার পরিসংখ্যান
বাংলাদেশে ই-কমার্স বিজনেস দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। ই-ক্যাবের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সাল শেষে ই-কমার্সের বাজারের আকার ছিল ৬৬০ কোটি ডলার। এই বাজার আগামী চার বছরে আরও বাড়বে। ২০২৫ সাল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১ হাজার ২৫ কোটি ডলার। বর্তমান বাজারদরে এর পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
ই-কমার্স স্টোর বিভিন্ন ধরণের মানুষের জন্য উপযুক্ত, যেমনঃ ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি।
5. ডিজিটাল চিত্রকর্ম বিক্রি
আপনার যদি ডিজিটাল আর্টে প্রতিভা থেকে থাকে তবে আপনার ডিজাইন অনলাইনে বিক্রি করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক, ইলাস্ট্রেশন, গ্রাফিক ডিজাইন বা কাস্টম পোর্ট্রেট তৈরি এবং বিক্রি করা অনেক লাভজনক।
ডিজিটাল আর্ট বিক্রির জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেমন Etsy, ArtStation, Redbubble, DeviantArt, এবং Behance-এর মতো মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করা হয়।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- একই ডিজিটাল আর্ট বহুবার বিক্রি করা সম্ভব।
- সারা বিশ্বের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো যায়।
- প্রতিযোগিতা বেশি এবং অন্য কেউ আপনার শিল্পকর্ম চুরি করে বিক্রি করতে পারে।
২০২৫ সালের চিত্রকর্ম এর বাজার পরিসংখ্যান
ডিজিটাল আর্ট এবং এর সাথে সম্পর্কিত বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। Allied Market Research অনুযায়ী “২০২৫ সালে এর বাজার $23 বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
যাদের সৃজনশীল দক্ষতা আছে অথবা অ্যানিমেটর তাদের জন্য এ পেশা উপযুক্ত হতে পারে।
6. অনলাইন ট্রেনিং সেন্টার
অনলাইন ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা হচ্ছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর শিক্ষামূলক কোর্স এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
প্রথমে কোন কোন বিষয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করতে হয়। যেমন, প্রোগ্রামিং, মার্কেটিং, ভাষা ইত্যাদি। এরপর শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্স কারিকুলাম এবং কোর্স ফি নির্ধারণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী কোর্সগুলো দক্ষ প্রশিক্ষক দ্বারা পরিচালনা করতে হবে এবং কোর্স শেষে শিক্ষার্থীদের সনদপত্র প্রদান করতে হবে।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- বণিজ্যিক স্পেস বা অফিস স্পেস ছাড়াও ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব।
- একসাথে অনেক শিক্ষার্থীকে কোর্স করানো যায়।
- একবার কোর্স তৈরি করে তা দীর্ঘ সময় ধরে বিক্রি করা যায়।
- অনলাইন ট্রেনিং সেক্টরে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত বেশি।
- টেকনিক্যাল বা সার্ভার সমস্যা হলে কোর্স করানো বাধাগ্রস্ত হয়।
২০২৫ এর বাজার পরিসংখ্যান
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও অনলাইন প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্মের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। গ্লোবাল অনলাইন লার্নিং মার্কেট ২০২১ সালে প্রায় $250 বিলিয়ন মার্কেট ভ্যালু ছিল এবং এটি ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় $375 বিলিয়ন মার্কেট ভ্যালু ধরার সম্ভবনা রয়েছে।
যারা কোনো বিষয়ে দক্ষ এবং পেশাগত জ্ঞান অন্যদের শেখাতে চান তাদের জন্য এটি উপযুক্ত মাধ্যম হতে পারে।
7. সাইবার সিকিউরিটি কন্সালটেন্ট
বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের তথ্যপ্রযুক্তি সিস্টেম অথবা তাদের ডিজিটাল সম্পদ সুরক্ষিত রাখতে সাইবার সিকিউরিটি কন্সাল্টেন্ট নিয়োগ করে থাকেন। তারা সাইবার হামলা, তথ্য চুরি, হ্যাকিং, এবং অন্যান্য ডিজিটাল হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করে থাকেন।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- ডিজিটাল নিরাপত্তা পাওয়া
- সাইবার আক্রমণের কারণে যেসব আর্থিক ক্ষতি হতে পারে, তা প্রতিরোধ করা।
- সাইবার সিকিউরিটি একটি জটিল বিষয় এবং সব সময়ই নতুন হুমকি দেখা দেয়।
- সাইবার সিকিউরিটি কনসালটেন্টদের সেবা সাধারণত ব্যয়বহুল হয়।
8. ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হচ্ছে একটি অনলাইন ভিত্তিক সেবা যেখানে অনলাইন এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন কোম্পানি, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়।
ক্লায়েন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্লায়েন্ট কাজের ধরন, সময়সীমা এবং ফলাফল সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা দেন ভার্চুয়াল এসিসটেন্টকে এবং সে অনুযায়ী তারা সময়মতো এবং নির্ভুলভাবে কাজ শেষ করেন। কাজ শেষে ক্লায়েন্ট তাদের নির্ধারিত পারিশ্রমিক দিয়ে দেয়।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময় কাজ করা যায়।
- বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
- কখনো কখনো ক্লায়েন্টদের সাথে ধোঁকা খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- সংবেদনশীল তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি থাকতে পারে।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ২০২৫ সালের বাজার পরিসংখ্যান
প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং দূরবর্তী কাজের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভার্চুয়াল সহকারী বাজারের আকার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ২০২৩ সালে $৪.৯৭ বিলিয়ন থেকে ২০২৪ সালে ২৮.৩% এর চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক বৃদ্ধির হারে (CAGR) $৬.৩৭ বিলিয়ন হয়েছে । ২০২৫ সালে এই বাজার আরও বড় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডাক্তার, আইনজীবী, এবং পরামর্শদাতারা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টের মাধ্যমে ভালো পরিমানে আয় করতে পারেন।
9. ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি
ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি হচ্ছে এমন সব প্রতিষ্ঠান যারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এবং বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল প্রয়োগ করে বিভিন্ন ব্যবসার পণ্য বা সেবা প্রচার করতে সহযোগিতা করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি বাজার গবেষণা ও পরিকল্পনা, ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি তৈরি, এসইও ও কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, ডেটা অ্যানালাইসিস ইত্যাদি সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- প্রথাগত মার্কেটিংয়ের তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং এ তুলনামূলক খরচ কম।
- নির্দিষ্ট অডিয়েন্স টার্গেট করার সুযোগ থাকে এবং ক্যাম্পেইনের ফলাফল বিশ্লেষণ করা যায়।
- প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ার কারণে দ্রুত ফলাফল পাওয়া কঠিন।
- টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াও ডেটা লিকের ঝুঁকি থাকে।
২০২৫ সালের ডিজিটাল মার্কেটিং এর বাজার পরিসংখ্যান
ই-কমার্সের বৃদ্ধির সাথে সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির বাজারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। Statista-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে গ্লোবাল ডিজিটাল মার্কেটিং মার্কেটের আকার প্রায় ৭৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে।
স্বতন্ত্র পেশাজীবী, স্টার্টআপস, বৃহৎ প্রতিষ্ঠান এদের জন্য এই ধরণের এজেন্সি ব্যবসা উপযুক্ত হতে পারে।
10. সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
কোন কোম্পানির বা ব্যক্তির ব্র্যান্ডিং, অ্যাডভারটাইজিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ক্যামপেইনিং, পোস্ট শিডিউল, অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট থেকে শুরু করে সমস্ত কাস্টমার এর তাৎক্ষনিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং বিভিন্ন তথ্য দিয়ে কাস্টমারদের কে সাহায্য করাই সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- বিক্রয় বাড়াতে সাহায্য করে।
- প্রচলিত মার্কেটিং পদ্ধতির তুলনায় খরচ কম।
- এটি দীর্ঘমেয়াদী এবং সময়সাপেক্ষ একটি কাজ।
- সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের এলগোরিদমের পরিবর্তন প্রায়ই কৌশলে বাধা সৃষ্টি করে।
২০২৫ সালের সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার বাজার পরিসংখ্যান
Grand View Research এর মতে, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ২০২৫ সালের মধ্যে $৪১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেলিব্রিটি ও ইনফ্লুয়েন্সার, স্টার্টআপস, বৃহৎ প্রতিষ্ঠান এদের জন্য এই ধরণের ব্যবসা উপযুক্ত হতে পারে।
11. ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং মূলত এমন একটি পেশা যিনি নিজের দক্ষতা ও জ্ঞান ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য প্রজেক্টভিত্তিক কাজ করে থাকেন। তাদের কাজের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে,- গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, লেখালেখি, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করার জন্য প্রথমে একটি বা একাধিক বিষয়ের উপর স্কিল অর্জন করতে হবে। একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। Upwork, Fiverr ইত্যাদিতে একউন্ট তৈরি করে কাজের এবং পারিশ্রমিকের তথ্য দিতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং সময়মতো ক্লায়েন্টের কাজ সম্পন্ন করে দিতে হবে।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বা বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করা যায়।
- যেকোনো স্থান থেকে কাজ করা যায়।
- ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত বেশি।
- অনেকসময় পেমেন্ট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
২০২৫ সালের ফ্রিল্যান্সিয়ের বাজার পরিসংখ্যান
বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সদের নীরব বিপ্লব হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৬ লক্ষ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। Upwork এবং Fiverr-এর গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়, ২০২৫ সালের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং বাজারের আকার প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে।
ছাত্র-ছাত্রী, বেকার তরুণ-তরুণী, গৃহিণী ছাড়াও কর্মজীবীরা এ পেশায় যুক্ত হতে পারে।
12. কেডিপি বা ই-বুক বিক্রি
KDP এর পুর্ণরুপ হলো Kindle Direct Publishing. এটি এমাজনের একটি প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ইবুক, লো কন্টেন্ট বুক, অটোগ্রাফ বুক, নোটবুক ইত্যাদি তৈরি করে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা বা লেখকরা তাদের লেখা ডিজিটাল আকারে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয়। প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য এমাজন থেকে লেখকরা পারিশ্রমিক পেয়ে থাকে। এটি সময়সাশ্রয়ী এবং প্রচলিত প্রকাশনা পদ্ধতির চেয়ে সাশ্রয়ী একটি উপায়।
যারা নিজস্ব গল্প, উপন্যাস, বা শিক্ষামূলক কনটেন্ট লিখেন তারা সহজেই কেডিপি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন।
13. ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট তৈরি
প্রযুক্তির এই যুগে ওয়েবসাইট এবং অ্যাাপ তৈরি একটি চাহিদাপূর্ণ পেশা। এই চাহিদা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিক্রয় বৃদ্ধি এবং মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। ব্যবসা, শিক্ষা, বিনোদন, স্বাস্থ্যসেবা—প্রায় সব ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের বাজার বিশ্বব্যাপী দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
14. গ্রাফিক ডিজাইন সার্ভিস
গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার দিয়ে করা হয়। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর এর মতো সফটওয়্যার গুলোতে দক্ষতা অর্জন করে যে কেউই জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ গ্রহণ করতে পারে। এই খাতে উন্নতির সুযোগ অনেক এবং আয়ও যথেষ্ট পরিমাণে করা সম্ভব।
ডিজাইনার ট্রেন্ড এবং ব্র্যান্ড গাইডলাইন বিশ্লেষণ করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে একটি লেআউট ডিজাইন করে ক্লায়েন্টকে প্রদান করে থাকে।
বাংলাদেশে গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ই-কমার্স, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের সম্প্রসারণের কারণে ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাতে ১৫-২০% প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
15. প্রুফ রিডিং সার্ভিস
লেখালেখির জগতে প্রুফ রিডিং কিংবা বানান শুদ্ধির বিকল্প নেই। লেখার গুণগত মান উন্নত এবং ভাষাগত ত্রুটি সংশোধন করার জন্য এই সার্ভিস। এটি এমন একটি ক্ষেত্র যা সকল প্রকারের লেখালেখির জন্যই প্রয়োজন হয়।
এ জন্য ক্লায়েন্ট তাদের প্রয়োজনীয় লেখা যেমন, গবেষণাপত্র, ব্লগ পোস্ট, বুক, ই-মেইল ইত্যাদি প্রুফ রিডারের কাছে পাঠিয়ে দেন। প্রুফ রিডার প্রথমে লেখাটি পড়ে এবং ত্রুটি শনাক্ত করেন। ভুলত্রুটিগুলো সংশোধন করে ক্লায়েন্ট এর নিকট হস্তান্তর করে।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- প্রুফ রিডিং সেবার মাধ্যমে লেখার প্রফেশনাল লুক তৈরি হয়।
- এটি ভুল বানান ও ব্যাকরণজনিত ত্রুটি দূর করে।
- প্রুফ রিডিং অনেক ক্ষেত্রে খরচসাপেক্ষ হতে পারে।
- মানসম্পন্ন প্রুফ রিডার খুঁজে পাওয়া কঠিন।
প্রুফ রিiডিং সার্ভিসের বাজার পরিসংখ্যান
ডিজিটাল যুগে, প্রুফ রিডিং সার্ভিসের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। মার্কেট রিসার্চ অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে এই সেবার গ্লোবাল মার্কেট ভ্যালু ৮০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাবে। বিশেষত ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রুফ রিডিং সেবার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
কোনো একটি নির্দিষ্ট ভাষার বানান নিয়ে ভালো ধারণা থাকলে প্রুফ রিডিং সার্ভিস শুরু করা যেতে পারে।
16. ফ্যাক্ট চেকিং
বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুজব, ভুল তথ্য, এবং মিথ্যা খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মিথ্যা তথ্য, ভুল ধারণা বা গুজব ঠেকাতে সাহায্য করে ফ্যাক্ট চেকিং। ফ্যাক্ট চেকিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হয়। ফ্যাক্ট চেকিং একটি পেশা কিংবা আয়ের উৎস হিসেবে গড়ে উঠছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কাজের প্রয়োজনে ফ্যাক্ট চেকার নিয়োগ করছে। অনেকে নিজে ফ্রিল্যান্সার হিসাবেও এই কাজটি করছেন।
প্রথমে যে তথ্যটি যাচাই করতে হবে তা সংগ্রহ করা হয়। তথ্যটি কোথা থেকে এসেছে বা এর সূত্র কী তা যাচাই করা হয়। এটি একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এসেছে কিনা, তা বিশ্লেষণ করা হয়। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়। সবশেষে, যাচাইয়ের ফলাফল সবার সামনে প্রকাশ করা হয়।
২০২৫ সালের ফ্যাক্ট চেকিং এর বাজার পরিসংখ্যান
সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং সেবা ব্যবহারকারীদের চাহিদাও বাড়ছে। এমনকি বাংলাদেশেও এর প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। Statista এর মতে, “বিশ্বব্যাপী ফ্যাক্ট চেকিং সেক্টর দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ফ্যাক্ট চেকিং মার্কেটের আকার $5.39 বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে।”
সরকারি সংস্থা, সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থা, গবেষক ও শিক্ষার্থী এদের সাধারণত ফ্যাক্ট চেকিং এর প্রয়োজন বেশি পড়ে। এই কারণে ফ্যাক্ট চেকিং একটি পেশা কিংবা আয়ের উৎস হিসেবে শুরু করতে পারেন।
17. অনলাইন সফটওয়্যার লাইসেন্স অথবা টুলস বিক্রি
অনলাইন সফটওয়্যার লাইসেন্স বা টুলস বিক্রি বলতে সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের তৈরি করা সফটওয়্যারের ব্যবহার অনুমোদন প্রদান এবং সেগুলো সাধারণত মেইলের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে লাইসেন্স কি সরবরাহ করাকে বোঝায়। এটি সাধারণত সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক মডেল, এককালীন ক্রয়, মাসিক বা ষান্মাসিক প্রভৃতি সিস্টেমে বিক্রি হয়।
এই ধরণের সার্ভিস প্রদানের জন্য প্রথমে নির্ধারণ করতে হবে কোন ধরনের সফটওয়্যার বা টুলস বিক্রি করবেন। যেমন,- অ্যান্টিভাইরাস, এসইও টুলস, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুলস, ডেটা অ্যানালিটিক্স টুলস ইত্যাদি।
এই সব টুলস বিক্রির জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হয় এবং এর প্রচারণার জন্য বিজ্ঞাপন দিতে হয়। ক্রেতাদের সফটওয়্যার ইন্সটল অথবা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট এর ব্যবস্থা রাখতে হয়।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- একই সফটওয়্যার বারবার বিক্রি করা যায়।
- যেকোনো দেশ থেকে ক্রেতা পাওয়া যায় যার ফলে ব্যবসার পরিধি বাড়ানো যায়।
- সফটওয়্যার বাগ বা পাইরেসির কারণে সফটওয়্যার টুলস বিক্রি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- সফটওয়্যার বিক্রি করার জন্য বেশ টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন।
২০২৫ সালের সফটওয়্যার টুলসের বাজার পরিসংখ্যান
ক্লাউড কম্পিউটিং, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং AI এর বৃদ্ধির সাথে সাথে সফটওয়্যার টুলসের বাজার আরও বড় হচ্ছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান Statista-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী সফটওয়্যার এবং টুলসের বাজারের আকার পৌঁছাবে প্রায় $১.২৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে এই বাজারের আকার ছিল $৯৯৩ বিলিয়ন।
সফটওয়্যারে পারদর্শী, স্টার্টআপ, উদ্যোক্তা, ডিজিটাল মার্কেটার, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার প্রভৃতি পেশার মানুষ এই ব্যবসার জন্য উপযুক্ত।
18. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
বর্তমানে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং কার্যকরী মার্কেটিং কৌশল হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কোনো পণ্যের তথ্য-উপাত্ত, শিক্ষা, বিনোদন, ব্র্যান্ড বা সেবার প্রচার করেন যারা তাদেরই বলা হয় ইনফ্লুয়েন্সার।
ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করতে হলে অনেক বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান ফলোয়ার্স থাকতে হবে। এজন্য বিভিন্ন এনগেজিং পোস্ট, কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি, হ্যাশট্যাগের ব্যবহার, কমিউনিটি তৈরি ইত্যাদি কাজ করতে হয়।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে ব্র্যান্ডের প্রচার করা যায়।
- অন্যান্য মার্কেটিং কৌশলের তুলনায় খরচ কম।
- প্রত্যাশিত Return of Investment সবসময় নাও আসতে পারে।
- ইনফ্লুয়েন্সারের ভুয়া ফলোয়ার্স থাকতে পারে, ফলে সঠিক ফলাফল নাও আসতে পারে।
২০২৫ সালের ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর বাজার পরিসংখ্যান
বাংলাদেশে ফেসবুক, ইউটিউব, এবং টিকটকের জনপ্রিয়তার কারণে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং একটি বিশাল ক্ষেত্র তৈরি করছে। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ের বাজার প্রতি বছর দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। Statista এর মতে, “২০২৫ সালে এর বৈশ্বিক বাজারের পরিমাণ হবে প্রায় $24.1 বিলিয়ন।”
একজন ভালোমানের ইনফ্লুয়েন্সারের চাহিদা সব সময় বেশি। অনলাইন মার্কেটপ্লেসের পাশাপাশি লোকাল মার্কেটপ্লেসগুলোতেও ইনফ্লুয়েন্সারদের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
19. পডকাস্ট
পডকাস্ট হলো ইন্টারনেটে অডিও শো বা সিরিজ যা মোবাইল বা কম্পিউটার ডিভাইসে ধারণ করে যেকোন সময় বা যেকোন পরিস্থিতিতে শোনা যায়। একটি পডকাস্টে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে, যেমন সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, খেলাধুলা, রাজনীতি ইত্যাদি।
পডকাস্ট তৈরি এবং প্রকাশ করার জন্য বিষয়বস্তু ঠিক করে Content Outline তৈরি করতে হয়। এরপর একটি ভালো মানের মাইক্রোফোন এবং রেকর্ডিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে একক বা অতিথিদের নিয়ে আলোচনাটি রেকর্ড করতে হয়। পডকাস্ট ফাইল আপলোড করার জন্য একটি পডকাস্ট হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম বেছে নিয়ে Apple Podcasts, Spotify, Google Podcasts-এর মতো প্ল্যাটফর্মে পাবলিশ করতে হয়।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- পডকাস্ট শুরু করতে খুব বেশি প্রযুক্তি বা সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই।
- পডকাস্ট একটি শক্তিশালী ব্যক্তিগত বা ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরিতে সহায়ক।
- নির্দিষ্ট শ্রোতা তৈরি করতে অনেক প্রচেষ্টা এবং কৌশলের প্রয়োজন।
- ভালো মানের পডকাস্ট তৈরি করতে রেকর্ডিং, সম্পাদনা এবং প্রচারে সময় লাগে।
পডকাস্টের ২০২৫ সালের বাজার পরিসংখ্যান
Spotify এবং Apple Podcasts-এর মতো বড় প্ল্যাটফর্ম পডকাস্ট কনটেন্টের জন্য বড় বিনিয়োগ করছে। এ ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫ সালে এটি আরও বড় বাজার তৈরি করবে। প্রতি বছর প্রায় ১৫-২০% হারে পডকাস্ট শ্রোতার সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে পডকাস্ট এখনও নতুন হলেও, ২০২৫ সালের মধ্যে পডকাস্ট কনটেন্টের প্রতি আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
নিজেদের ব্র্যান্ড প্রচার করতে এবং যারা ব্লগ, ভিডিও বা সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কাজ করেন তারা পডকাস্ট শুরু করতে পারেন।
20. মেডিকেল স্ক্রাইব
উন্নত বিশ্বে রোগীর তথ্য ডকুমেন্টেশন আবশ্যক এবং সাধারণত ডাক্তারদেরই এটি করতে হয়। বর্তমানে চিকিৎসকের কাজগুলোকে সহজতর করার জন্য মেডিকেল স্ক্রাইব নিয়োগ করা হয়, যার কাজ হচ্ছে রোগীদের ডকুমেন্টেশন তথা চিকিৎসকের কথাবার্তা, রোগীর লক্ষণ, পরীক্ষার ফলাফল এবং চিকিৎসার পরিকল্পনা ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড (EHR) এ সংরক্ষন করা। এর ফলে ডাক্তারের উপর চাপ কমে এবং চিকিৎসা দেওয়াও সহজ হয়।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিংবা কোনো একটি কোম্পানির অধীনে মেডিক্যাল স্ক্রাইব হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করা যায়। এজন্য রোগীর ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা, ল্যাব টেস্টের ফলাফল, পেস্ক্রিপশন এবং অন্যান্য রিপোর্ট EHR-এ যুক্ত করতে হয়। রোগীদের পরবর্তী ফলো-আপ অ্যাপয়েন্টমেন্ট বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য রেকর্ড রাখতে হয়।
সুবিধা-অসুবিধাঃ
- স্ক্রাইবের সহায়তায় ক্লিনিক বা হাসপাতালের কার্যক্রম দ্রুত এবং সহজ হয়।
- রোগীর ইতিহাস বিশ্লেষণে সহায়তা হয় বিধায় ডাক্তারদের চিকিৎসা দিতে সুবিধা হয়।
- মেডিকেল টার্মিনোলজি এবং EHR ব্যবস্থার ওপর দক্ষতা প্রয়োজন।
- ভুল ব্যবস্থাপনার কারণে রোগীর গোপনীয় তথ্য ফাঁস হতে পারে।
২০২৫ সালের মেডিকেল স্ক্রাইবের বাজার পরিসংখ্যান
বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে ধীরে ধীরে এ প্রযুক্তি সংযুক্ত হচ্ছে। ফলে আগামীতে মেডিকেল স্ক্রাইবের পেশার চাহিদা বাড়বে। ২০২৫ সালের মধ্যে গ্লোবাল মেডিকেল স্ক্রাইব বাজারের আকার প্রায় $1.7 বিলিয়ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইটি ও ডেটা এনালিস্ট, মেডিকেল শিক্ষার্থী, ফ্রিল্যান্সারা এ পেশায় সংযুক্ত হতে পারেন।
অনলাইন ব্যবসা শুরু করার আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখা জরুরি
- ব্যবসার ধরণ এবং পণ্য নির্বাচন
- মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন
- ব্যবসায়িক প্ল্যান বা মডেল তৈরি
- সাপ্লাই চেইন ও ডিস্ট্রিবিউশন
- মূলধন নিশ্চিতকরন
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ
- মার্কেটিং এবং সেলস
- ওয়েবসাইট অথবা অনলাইন স্টোর তৈরি
- উপযুক্ত এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ
- ইউনিক, প্রাসঙ্গিক এবং মনে রাখার মতো নাম নির্ধারণ
বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
বাংলাদেশ ক্রমশ অনলাইনে ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে। এমনকি অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য বাইরের দেশে বিক্রি করা হচ্ছে। অনলাইন ব্যবসার জন্য প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম উল্লেখ করা হলো:
- ই-কমার্সের জন্য: Shopify, WooCommerce, BigCommerce
- ফ্রিল্যান্সিং সেবার জন্য: Fiverr, Upwork, Freelancer
- ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য: Facebook Ads, Google Ads
- ই-লার্নিংয়ের জন্য: Udemy, Teachable, Coursera
- পডকাস্টিংয়ের জন্য: Spotify, Anchor
এছাড়াও বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা ও পণ্য বিক্রয়ের জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যেমনঃ-
- দারাজ (Daraz)
- রকমারি (Rokomari)
- বিক্রয় ডট কম (Bikroy.com)
- চালডাল (Chaldal)
- ফুডপান্ডা (Foodpanda)
- প্রিয়শপ (PriyoShop)
- স্টারটেক (Star Tech)
উপরের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে পন্য বিক্রি করতে চাইলে প্রথমে সেই প্লাটফর্মের রেজিস্টেশন অথবা একাউন্ট খুলতে হয়, পণ্য তালিকাভুক্ত করতে হয় এবং প্ল্যাটফর্মের শর্তাবলী মেনে চলতে হয়। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব কমিশন ও ফি স্ট্রাকচার রয়েছে, যা বিক্রেতাদের প্রদান করতে হয়। বর্তমান সময়ে অসংখ্য মানুষ অনলাইন ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে, কেননা এটা শুরু করা কিংবা পরিচালনা করা অনেকটা সহজ ফিজিক্যাল ব্যবসায়ের তুলনায়।
অনলাইন ব্যবসার প্রচার কিভাবে করা হয়?
“প্রচারেই প্রসার”। প্রায় সকল ব্যবসার ক্ষেত্রেই এই কথাটা প্রযোজ্য। অনলাইন ব্যাবসার ক্ষেত্রে ব্যবসার প্রচার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন মাধ্যমে এবং বিভিন্ন কৌশলে এই ব্যবসার প্রচার করা যায়। নিচে কিছু কার্যকর পদ্ধতির ধারণা দেয়া হলো:
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- পেইড অ্যাডভার্টাইজিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)
- ই-মেইল মার্কেটিং
- ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- কুপন এবং অফার প্রচার
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
সঠিকভাবে কৌশল প্রয়োগ করলেই অনলাইন ব্যবসার প্রচার সফলতার সাথে এগিয়ে নেওয়া যাবে।
একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করার জন্য দরকারী টুলস
অনলাইনে বিভিন্ন টুলস রয়েছে যা Online Business কে সহজ করে তুলবে, দক্ষতা বাড়াবে এবং আপনার ব্যবসাকে স্বয়ংক্রিয় করবে। আসুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুলস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
ওয়েবসাইট নির্মাণের টুল
- WordPress: সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট নির্মাণ প্ল্যাটফর্ম, যেটি সহজে ব্যবহারযোগ্য।
- Wix বা Squarespace: সহজে ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ ফিচার দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে সাহায্য করে।
- Shopify: ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
গ্রাফিক ডিজাইন টুল
- Canva - পোস্টার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, লোগো এবং ব্যানার ডিজাইন করার সহজ টুল।
- Adobe Photoshop বা Illustrator - পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত টুল।
- Figma - UI/UX ডিজাইনের জন্য ব্যবহারযোগ্য।
ই-মেইল মার্কেটিং টুল
- Mailchimp: ই-মেইল ক্যাম্পেইন তৈরি ও পরিচালনার জন্য এবং একসাথে অনেকজনকে এক সাথে মেইল পাঠানোর সহজ এবং জনপ্রিয় টুল।
- Constant Contact: ই-মেইল মার্কেটিং এবং অটোমেশন সেবা প্রদান করে।
- HubSpot: একটি অল-ইন-ওয়ান টুল যা ই-মেইল মার্কেটিংসহ অন্যান্য মার্কেটিং সেবা দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুল
- Hootsuite: বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে পোস্ট শিডিউল এবং বিশ্লেষণ করা যায়।
- Buffer: কন্টেন্ট ম্যানেজ করতে এই টুল ব্যবহার করা হয়।
- Sprout Social: সোশ্যাল মিডিয়া এনালাইটিক্স এবং ম্যানেজমেন্ট টুল।
পেমেন্ট গেটওয়ে
- SSLCommerz: বাংলাদেশের অনলাইন পেমেন্ট সেবা প্রদানকারী একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
- PayPal: আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে এবং সবচেয়ে জনপ্রিয়।
- Stripe: পেমেন্ট প্রসেস করার জন্য আরেকটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
এছাড়াও রয়েছে aamarPay, shurjoPay ইত্যাদি।
প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুল
- Trello: কাজ ট্র্যাক করার জন্য সহজ টুল।
- Asana: প্রজেক্ট প্ল্যান এবং টাস্ক ম্যানেজমেন্টের জন্য পেশাদার টুল।
- Slack: টিম কমিউনিকেশন এবং ফাইল শেয়ারিং টুল।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) টুল
- Google Analytics: ওয়েবসাইটের ভিজিটর এবং পারফরম্যান্স বিশ্লেষণের জন্য টুল।
- Ahrefs: কীওয়ার্ড গবেষণা এবং প্রতিযোগীদের বিশ্লেষণ করার জন্য উপযোগী।
- Yoast SEO: WordPress ওয়েবসাইটের জন্য SEO অপ্টিমাইজেশনের টুল।
গ্রাহক সাপোর্ট টুল
- Zendesk: গ্রাহক সাপোর্ট এবং টিকিট সিস্টেম ব্যবস্থাপনার জন্য টুল।
- LiveChat: ওয়েবসাইটে সরাসরি গ্রাহকদের সাথে চ্যাট করার টুল।
- Chatbot: এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (AI) এবং প্রি-প্রোগ্রামড স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তর দেয়। এটি মানুষ ছাড়াই কাজ করে।
কনটেন্ট মার্কেটিং টুল
- BuzzSumo: জনপ্রিয় কনটেন্ট আইডিয়া খুঁজে পাওয়ার জন্য টুল।
- Grammarly: লেখার গুণগত মান উন্নত এবং স্পেলিং ঠিক করার টুল।
- WordPress: কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
উপরোক্ত টুলগুলো একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু এবং পরিচালনার জন্য সহায়ক। এসব টুলগুলো দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে ব্যবসার প্রসার ঘটানো যায়।
সফল অনলাইন ব্যবসার জন্য কিছু টিপস
বর্তমান যুগে অনলাইন ব্যবসা একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। তবে প্রতিযোগিতামূলক এই প্ল্যাটফর্মে সফলতা অর্জন করা সহজ নয়। সঠিক পদক্ষেপ অনুসরণ এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে আলাদা করে তুলবে এবং আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
- অনলাইন ব্যবসার সফলতার জন্য একটি স্পষ্ট লক্ষ্য থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিশীল থাকুন।
- গ্রাহককে বুঝতে পারা একটি ব্যবসার মূল চাবিকাঠি। গ্রাহকদের সমস্যাগুলি চিহ্নিত করুন এবং সেই অনুযায়ী পণ্য বা সেবা প্রদান করুন।
- বাজার গবেষণা এবং কম্পিটিটরদের এনালাইসিস করুন।
- পণ্য বা সেবার গুণগত মান নিশ্চিত করুন।
- সততা ধরে রাখুন, সততা গ্রাহকদের আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি আকৃষ্ট করে।
- দ্রুত এবং সাশ্রয়ী ডেলিভারি সেবা নিশ্চিত করুন।
- সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এজন্য বিভিন্ন ধরণের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করুন।
- বিভিন্ন ধরণের অফার, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ এবং চমৎকার গ্রাহক সেবা প্রদান করুন।
- একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করুন যা নেভিগেট করা সহজ এবং মোবাইল রেসপন্সিভ।
- ওয়েবসাইট ট্রাফিক, বিক্রয়, কনভারসন রেট ইত্যাদি ট্র্যাক করুন এবং সেসব ডেটা বিশ্লেষণ করে গ্রাহকদের পছন্দ বুঝুন।
- কাস্টমার রিভিউ নিন এবং বিক্রয় পরবর্তী সেবা প্রদান করুন।