যেকোনো ব্যবসার জন্যই বিনিয়োগ প্রয়োজন। অর্থ কিংবা শ্রম বিনিয়োগ বিভিন্ন প্রকারে হতে পারে। তবে আমাদের মাঝে এমন মানুষ অনেক রয়েছে যারা স্বল্প কিংবা বিনা পুঁজিতে ব্যবসার সন্ধ্যান করছেন। সত্যি কথা বলতে এমন ব্যবসা খুঁজে পাওয়া যাবে না যা সম্পুর্ণ বিনা পুঁজিতে করা সম্ভব। আপনার শ্রম, ব্যক্তিগত মালিকানাধিন বিভিন্ন বস্তু, দক্ষতা, সময় - কোনো না কোনো রূপে বিনিয়োগ করতে হবেই।
বিশ্বমন্দার এই যুগে যেখানে বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই চলছে সেখানে আমরা এমন কিছু ব্যবসা সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি যা কোনো টাকা বিনিয়োগ না করে কিংবা স্বল্প পুঁজিতে করা সম্ভব।
বিনা পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন এমন কিছু ব্যবসার আইডিয়া
- রিসেলিং/ ড্রপসিপিং
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
- ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট
- ম্যাচমেইং সার্ভিস
- ব্লগ লেখা
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ইউটিউব চ্যানেল
- রাইড শেয়ারিং
- পেট সিটিং সার্ভিস
- বেবি সিটিং সার্ভিস
- ট্রেনিং সেন্টার
- টিউটোরিং
- ডাটা এন্ট্রি সার্ভিস
- কেডিপি/ ই-বুক বিক্রি
- ডিজিটাল ইমেজ বিক্রি
- ওয়েবসাইট তৈরি
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইনিং
- প্রুফ রিডিং সার্ভিস
- ফ্যাক্ট চেকিং
- বুককিপিং
- ট্যুর গাইড
- মেডিকেল স্ক্রাইব
- মেডিকেল ফ্যাসিলিটি কনসালটেশন সার্ভিস
- ক্যারিয়্যার গাইডেন্স সার্ভিস
রিসেলিং বা ড্রপশিপিং ব্যবসা কি?
ধরুন, একটি দোকানে একটি পণ্য ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আপনি তাদের অনুমতি সাপেক্ষে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেইজে কিংবা ওয়েবসাইটে ঐ একই পণ্য ৭৫০ টাকা করে পোস্ট করলেন। যদি আপনি পণ্যটি সফলভাবে বিক্রি করতে পারেন তবে এই বিক্রয় থেকে আপনি ২৫০ টাকা লাভ করবেন। একইসাথে পণ্যটি ডেলিভারি করার দ্বায়িত্বও নিবে বিক্রয়কৃত প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ আপনি বিনা বিনিয়োগে আয় করলেন ২৫০ টাকা।
উপরে আমরা যা নিয়ে কথা বললাম, এটিই হলো রিসেলিং কিংবা ড্রপশিপিং এর উদাহরণ। একজন নিজের উপস্থাপনার দ্বারা খুব সহজেই বিভিন্ন পণ্য রিসেলিং এর মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন। এই সকল ক্ষেত্রে নিজের ওয়েবসাইট থাকলে অধিক বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের নারীদের জন্য সেরা ১০টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার কি?
বিভিন্ন পণ্য কিংবা সেবা সম্পর্কে প্রচারনা করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া পেইজের ব্যবহার হচ্ছে প্রতিনিয়তই। এই সকল পেইজ রক্ষণাবেক্ষণ, মেসেজ ও কমেন্ট এর রিপ্লাই দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়। নিজের মোবাইল কিংবা কম্পিউটার থাকলে যে কেও এই কাজে যুক্ত হতে পারেন।
চাইলে নিজের নামে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারিয়াল এজেন্সিও খুলে নিতে পারেন এবং বিভিন্ন কোম্পানি এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট কি?
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের মতো ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট এর কাজের পরিধি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন রকমের অফিসিয়াল কাজের জন্য ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট নিয়োগ করা হয়। এর মাঝে বেশির ভাগ কাজের ধরণ চুক্তিভিত্তিক। এই কারনে আপনি চাইলে নিজে ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট কোম্পানি খুলতে পারেন এবং আরো অনেককে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিয়োগ করাতে পারেন।
কাজের চাপের উপরে নির্ভর করে বিভিন্ন মানুষকে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবসার পরিসর বড় করাও সম্ভব।
ম্যাচমেকিং সার্ভিস কি?
ম্যাচমেকিং সার্ভিসকে সহজ বাংলায় বলা যেতে পারে ঘটক ব্যবসা। শুনে একটু অদ্ভুত লাগলেও বিনা পুঁজিতে করার জন্য এটি ভাল একটি বিকল্প হতে পারে। এখনো অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছেন যারা পরিবারের পছন্দে বিয়ে করতে ইচ্ছুক। আপনার যদি অসংখ্য পরিচিত মানুষ থেকে থাকে এবং আপনি যদি মিষ্টভাষী হয়ে থাকেন তবে আপনি ম্যাচমেকিং এ নিজেকে নিয়োগ করতেই পারেন।
ব্লগ লেখা
অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন ব্লগ লেখার মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকেন। Wordpress, Blogger, Medium ইত্যাদি সাইটে ব্লগ লেখার মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন লেখালেখির দক্ষতা, পাঠকদের আকৃষ্ট করার ক্ষমতা। আপনি যদি লেখালেখিতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে ব্লগ লেখার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। গুগল এডসেন্স, ভিউয়ার, এফিলেয়েট মার্কেটিংসহ বিভিন্ন উপায়ে ব্লগের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।
কন্টেন্ট ও কপিরাইটিং সার্ভিস কি?
লেখালেখিতে দক্ষ হলে আরোও একটি কাজে নিজেকে নিয়োগ করতে পারেন আর তা হলো বিভিন্ন রকমের কন্টেন্ট রাইটিং এবং কপি রাইটিং। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভিত্তিতে বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল ও মার্কেটিং কপি লেখিয়ে থাকেন। নিজের কন্টেন্ট রাইটিং সাইট তৈরির মাধ্যমে আপনি এই সকল আর্টিকেল ও কপি রাইটিং এর কাজ নিতে পারেন এবং টাকা আয় করতে পারেন।
আরো পড়ুন: বিজনেস মডেল কি এবং কত প্রকার? কিভাবে বিজনেস মডেল তৈরি করবেন?
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি
আপনি যদি ভিডিও বানাতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে ইউটিউব চ্যানেল তৈরির মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন আপনিও। কিন্তু এর জন্য আপনার দরকার হবে ধৈর্য্য এবং লেগে থাকার স্পৃহা। একই সাথে আপনার কন্টেন্ট হতে হবে ব্যতিক্রমী ও আকর্ষণীয়। ইউটিউবের নির্দিষ্ট শর্ত পুরণ না হলে মনিটাইজেশন হয় না। এই কারনে টাকা আয়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে, যতদিন না পর্যন্ত ইউটিউব মনিটাইজেশন শুরু হচ্ছে।
রাইড শেয়ারিং কি?
আপনার যদি একটি বাইক থাকে এবং আপনার যদি শহরের বিভিন্ন রাস্তা সম্পর্কে ভালো ধারনা থেকে থাকে তবে আপনি করতে পারেন রাইড শেয়ারিং বিজনেস। অনেকেই রয়েছেন যারা স্বল্প খরচে দ্রুত কোনো একটি গন্তব্যে পৌছাতে চান। এই ক্ষেত্রে অনেকেই সিএনজি এর পরিবর্তে বাইকের রাইড শেয়ারিংকে বেছে নেন। বাইকের ধরণের উপরে অবশ্য আপনার সাশ্রয় কেমন হবে তা নির্ভর করবে।
পেট সিটিং সার্ভিস কি?
শহরের মানুষদের পশুপাখি পালার হার বেড়েছে বহুগুণে। কিন্তু দূরে কোথাও যেতে হলে এদেরকে সাথে নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যায়। এই সকল সমস্যা থেকে বাঁচতে পেটসিটিং সার্ভিসও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আপনি যদি পশু-পাখি পছন্দ করে থাকেন এবং এদের রক্ষনাবেক্ষণ নিয়ে ধারনা থেকে থাকে তাহলে পেট সিটিং আপনার জন্য। তবে এই ক্ষেত্রে পোষা প্রাণি রাখার উপযোগি জায়গা সংস্থান গুরুত্বপুর্ণ।
বেবিসিটিং সার্ভিস কি?
অনেক বাবা-মাই রয়েছেন যারা চাকরি করার কারণে বাচ্চাদের দিকে সঠিক মনোযোগ দিতে পারেন না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য তারা বেবিসিটারের সরনাপন্ন হন। বাচ্চাদের প্রতি মনোযোগ দিতে সক্ষম এমন যে কেও বিনা মুলধনে এটি শুরু করতে পারেন। ঘন্টা কিংবা চুক্তিহারে এই ক্ষেত্রে আয় করা সম্ভব এবং আয়ের পরিমাণও নেহাত মন্দ নয়।
ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা কি?
আপনার বাসায় যদি এমন কোনো রুম পড়ে থাকে যা এখন ব্যবহার হচ্ছে না তাহলে আপনি চাইলে এটিকে একটি ট্রেনিং সেন্টারে পরিবর্তিত করতে পারেন। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে ট্রেইং দিতে পারেন। গিটার বাজানো থেকে কম্পিউটার শিক্ষা যেকোনো কিছুই আপনি শেখাতে পারেন।
হোম টিউটর সার্ভিস কি?
এমন বাবা মা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে যারা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত নয়। সন্তানের ভালোর কথা বিবেচনা করে ভালো হোম টিউটর নিয়োগ করতে চান যেকোনো বাবা-মাই। আপনি যদি আপনার পড়াশোনা এবং পড়ানোর দক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন তবে খুঁজে নিতে পারেন এমন কাওকে যারা তার সন্তানের জন্য হোম টিউটর খুজছে। বিভিন্ন টিউশন মিডিয়া এই মর্মে আপনাদের সাহায্য করতে পারে।
ডাটা এন্ট্রি সার্ভিস কি?
বর্তমানে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আলাদা করে ডাটা এন্ট্রির জন্য কর্মচারি নিয়োগ করে না। এর পরিবর্তে তারা বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি সার্ভিসকে এই দ্বায়িত্ব প্রদান করে থাকে। এই কাজটি আপনি বিনা টাকায় শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে আপনার চাহিদা বৃদ্ধি পেলে নিজের অধীনে মানুষ নিয়োগ করে ব্যবসাকে আরোও প্রসারিত করতে পারেন।
কেডিপি/ই-বুক বিক্রি ব্যবসা কি?:
KDP এর পুর্ণরুপ হলো Kindle Direct Publishing। এটি এমাজনের একটি পার্শ্ব প্রজেক্ট। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ইবুক, লো কন্টেন্ট বুক, অটোগ্রাফ বুক, নোটবুক ইত্যাদি তৈরি করে আপনি ওয়েবসাইটে আপ করতে পারেন। প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য এমাজন থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আরো অনেক ই-বুক বিক্রির সাইট রয়েছে, এই সকল স্থানেও ইবুক বিক্রয় করা সম্ভব।
ডিজিটাল ইমেজ বিক্রি ব্যবসা:
আপনি যদি আকাআকি করতে পারেন কিংবা আপনার ইমেজ এডিটিং এর দক্ষতা ভালো হয়ে থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন ডিজিটাল ইমেজ বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন উইশ কার্ড, NFT ইমেজ, ডিজিটাল আর্ট এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। Etsy এর মতো অনেক ওয়েবসাইটে এগুলো বিক্রয় করা সম্ভব।
ওয়েবসাইট ডিজাইন সার্ভিস কি?
প্রযুক্তির এই যুগে ওয়েবসাইট তৈরি একটি চাহিদাপূর্ণ পেশা। এই চাহিদা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিক গ্রাহকের নিকট নিজেদের পৌছে দিতে বিভিন্ন কোম্পানি ওয়েবসাইটের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। ওয়েবসাইট তৈরিতে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সহজেই এই দ্রুত বর্ধনশীল সেক্টরে নিজের অবস্থান দখল করে নিতে পারেন।
বিভিন্ন স্কিল ডেভলপমেন্ট ট্রেইনিং ওয়েবসাইট তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এই সকল প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ওয়েব ডেভলপমেন্টে ক্যারিয়ার তৈরি করা সম্ভব।
এফিলিয়েট/ কমিশন মার্কেটিং কি?
Affiliate Marketing ও কমিশন মার্কেটিং হলো কর্মদক্ষতা ভিত্তিক কাজের কৌশল। এখানে একজন বিক্রেতা যত বেশি পণ্য বিক্রয় করতে পারবে তত বেশি লাভ অর্জন করবে। এই কৌশল সমূহে মুল কোম্পানি এবং বিক্রেতা উভয়ের জন্যই একটি লাভজনক পরিস্থিতি তৈরি করে। এই ক্ষেত্রে মুল প্রতিষ্ঠান প্রচুর ক্রেতা পেয়ে থাকে এবং বিক্রেতা প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন উপার্জন করে থাকে।
সাধারণ কমিশন মার্কেটিং আর এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভিতরে মূল পার্থক্য হলো প্রথমটি অনলাইন অফলাইন দুইক্ষেত্রে করা হলেও, এফিলিয়েট মার্কেটিং মুলত করা হয় অনলাইনে রেফারেল লিংক তৈরি করার মাধ্যমে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কি?
যদি আপনি নিজেকে দক্ষ বলে প্রমাণ করতে পারেন তবে এটিও খুবই চাহিদা সম্পন্ন কাজ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। গ্রাফিক্স ডিজাইং বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার দিয়ে করা হয়। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর এর মতো সফটওয়্যারগুলোতে দক্ষতা অর্জন করে যে কেওই জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ গ্রহণ করতে পারে। এই খাতে উন্নতির সুযোগ অনেক এবং আয়ও যথেষ্ট পরিমাণে করা সম্ভব।
প্রুফ রিডিং সার্ভিস কি?
লেখালেখির জগতে প্রুফ রিডিং কিংবা বানান শুদ্ধির বিকল্প নেই। কোনো একটি নির্দিষ্ট ভাষার বানান নিয়ে ভালো ধারণা থাকলে প্রুফ রিডিং সার্ভিস শুরু করা যেতে পারে। এটি এমন একটি ক্ষেত্র যা সকল প্রকারের লেখালেখির জন্যই প্রয়োজন হয়। সাধারণত এই ধরণের কাজে চুক্তি ভিত্তিক কিংবা ফর্মা হিসেবে টাকা আয় করা সম্ভব।
ফ্যাক্ট চেকিং সার্ভিস কি?
ইন্টারনেটে বিভিন্ন রকমের তথ্যে ভরপুর। এমনও দেখা যায়, একই বিষয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট আলাদা আলাদা রকমের তথ্য প্রদান করে। এই কারনে কোনটি সঠিক তথ্য এটি জানা জরুরি। এই কারণে ফ্যাক্ট চেকিং একটি পেশা কিংবা আয়ের উৎস হিসেবে গড়ে উঠছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কাজের প্রয়োজনে ফ্যাক্ট চেকার নিয়োগ করছে। অনেকে নিজে ফ্রিল্যান্সার হিসাবেও এই কাজটি করছেন।
হিসাবরক্ষক/ বুককিপিং কি?
সাধারণত হিসাবরক্ষক কিংবা বুককিপিং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মীনিয়োগের মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে। কিন্তু করোণাকালিন ও এর পরিবর্তি সময়ে অনেক স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেও বিকল্প এসেছে। বুককিপিংও এর বিকল্প নয়।
বর্তমান সময়ে, অনেকেই নিজের কোম্পানি গড়ে তোলে অন্য প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষণের কাজ করে দিচ্ছে। আর এমন বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই শুরু হয়েছিলো একক কিংবা দুই-তিনজনের যৌথ উদ্দ্যোগের মাধ্যমে। আপনার নির্দিষ্ট বুককিপিং সফটওয়্যার থাকলে এবং এই ব্যাপারে অভিজ্ঞতা থাকলে এককভাবেও এই কাজ শুরু করতে পারেন।
ট্যুর গাইড সার্ভিস:
অনেকেই কোনো একটি এলাকায় ঘুরতে গেলে ট্যুর গাইডের সন্ধ্যান করেন। একজন সৎ ও উপযুক্ত ট্যুর গাইড থাকলে ঘুরাঘুরির আনন্দের পুর্ণতা পায়। আপনার বাসা যদি কোনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবেষ্ঠিত এলাকায় হয়ে থাকে, তাহলে আপনি চাইলেই পর্যটকদের ট্যুরগাইডের কাজটি করতে পারেন এবং একই সাথে এর মাধ্যমে কিছু অতিরিক্ত আয়েরও সংস্থান হতে পারে।
মেডিকেল স্ক্রাইব কি?
মেডিকেল স্ক্রাইব এমন একটি পেশা যার প্রয়োজনিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উন্নত বিশ্বে রোগীর তথ্য ডকুমেন্টেশন আবশ্যক এবং সাধারণত ডাক্তারদেরই এটি করতে হয়। বর্তমানে মেডিক্যাল স্ক্রাইব নিয়োগ করে ডাক্তাররা এই ডকুমেন্টেশনের চাপ থেকে নির্ভার হচ্ছেন। ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিংবা কোনো একটি কোম্পানির অধীনে মেডিক্যাল স্ক্রাইব হিসেবে নিযুক্ত হয়ে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন স্বাবলম্বী।
মেডিকেল ফ্যাসিলিটি কনসালটেশন সার্ভিস কি?
আমাদের মাঝে অনেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন দেশে যেয়ে থাকে। সকল দেশের সব হাসপাতাল সব রোগের চিকিতসার জন্য ভালো না। আবার, রোগী দেখানোর সিরিয়াল দেওয়া এবং ডাক্তারের এপোয়েন্টমেন্ট নেওয়াও একটি ঝক্কির ব্যাপার। এই সমস্যা সমাধান করতে পারে মেডিকেল ফ্যাসিলিটি কনসালটেশন সার্ভিস।
হাসপাতালের খরচ, কোন অসুখের জন্য কোন হাসপাতাল কিংবা ডাক্তার ভালো, ডাক্তারের এপোয়েন্টমেন্ট নেওয়া ইত্যাদি সেবা দেওয়ার মাধ্যমে একজন চাইলে বেশ ভালো টাকা আয় করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে সকলকেই সৎ থাকতে হবে, অন্যথায় একজন মানুষের জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে পারে।
ক্যারিয়ার গাইডেন্স সার্ভিস কি?
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা এখনো ঠিক করতে পারেন নি তারা জীবনে কি করতে চান। এইক্ষেত্রে ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং তাদের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে সাহায্য করতে পারে। সুন্দর বাচনভঙ্গী, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং বুঝানোর ক্ষ্মতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ক্যারিয়ার কাউন্সিলিংকে আয়ের উৎস হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।
উপরে যে তালিকা আর বর্ণনা দেওয়া হলো এটি এখানেই শেষ নয়। এমন আরোও অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যা আমরা চাইলে স্বল্প টাকায় করতে পারি। আমরা যে ব্যবসাকেই বেছে নেই না কেনো আমাদের উচিৎ সেই কাজটিকে সময় দেওয়া এবং ধৈর্য্য ধারন করা। সফলতা একদিন আসবেই।