ব্যবসা পরিকল্পনা কাকে বলে? ব্যবসা পরিকল্পনার ধাপ সমূহ এবং শুরু করার আগে যে ১২টি বিষয় মনে রাখা জরুরি

কথায় বলে, “ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।” একটি নতুন ব্যবসা শুরু করার ইচ্ছা থেকেও উপায় খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আমাদের মাঝে অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাবে, যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের সাথে ব্যবসা শুরু করার ব্যাপারে কথা বলে থাকেন। কিন্তু সাহসের অভাবে কিংবা যোগ্য সঙ্গী না পেয়ে অনেকেই হয়ত উদ্যোগ নিয়েও নিতে পারছেন না। আমাদের মাঝে অনেকের মনেই হয়ত এমন প্রশ্ন উঁকি দেয়, “আমাকে দিয়ে হবে তো?”

ব্যবসা পরিকল্পনা বা Business Plan কাকে বলে?

ব্যবসা পরিকল্পনা বা Business Plan হলো একটি লিখিত নথি যা একটি ব্যবসার লক্ষ্য, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কর্মকৌশল যেমনঃ মূলধন নিশ্চিতকরণ, বাজার পর্যালোচনা, বিপণন কৌশল, পরিচালনার পদ্ধতি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা বর্ণনা করে। এটি একটি রোডম্যাপ বা গাইডলাইন হিসেবে কাজ করে, যা উদ্যোক্তা এবং ব্যবসার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যবসার পরিচালনা এবং সফলতা অর্জনের দিকে নির্দেশনা দিয়ে থাকে। 

নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে ব্যবসা পরিকল্পনা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বিদ্যমান ব্যবসার সম্প্রসারণ বা নতুন প্রকল্প শুরু করার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ পেতে এবং ঋণদাতাদের বিশ্বাস অর্জন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

একটি সফল ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করতে হলে এর মধ্যে বাস্তবসম্মত তথ্য এবং বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।  নিম্নে ব্যবসা পরিচালনার ধাপসমূহ আলোচনা করা হলো। 

ব্যবসা পরিকল্পনার ধাপ সমূহ:

  1. ব্যবসার ধরণ নিশ্চিতকরণ
  2. মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন
  3. ব্যবসায়িক মডেল তৈরি
  4. মুলধন নিশ্চিতকরন
  5. ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ
  6. ই-টিন রেজিস্ট্রেশন, আয়কর রিটার্ন অ্যাকাউন্ট তৈরি
  7. টিম ম্যানেজমেন্ট
  8. ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি তৈরি 
  9. বিপণন কৌশল বা মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা
  10. অপারেশনাল সিস্টেম গঠন
  11. আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা
  12. পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা 

 

১. ব্যবসার ধরণ নিশ্চিতকরণ

আমরা যদি আগে থেকে এটিই না জানি যে আমরা কি ব্যবসা করতে চাই তাহলে কোনোভাবেই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব না। ছোটবেলায় পড়া একটি উক্তির সাথে আমরা সবাই পরিচিত, লক্ষ্য ছাড়া জীবন, হাল ছাড়া নৌকার মতো। ঠিক একই ভাবে আমরা যদি কি ব্যবসা করবো এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারি তাহলে যতই উদ্যোগ নেই কোনো লাভ নেই।

আমাদের সবারই কিছু না কিছু দক্ষতা ও জ্ঞান রয়েছে। অনেকে এমন অনেক পরিচিত মানুষ আছেন যারা দীর্ঘ সময় যাবত ব্যবসা করে যাচ্ছে। এই পরিচিত ও দক্ষতাকে কাজে লাগানো যাবে এমন একটি ব্যবসা যদি আমরা খুঁজে বের করতে পারি, তাহলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।

আরো পড়ুন : বিনা পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন এমন ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া

২.মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন

একটি ব্যবসা শুরু করার জন্য বাজার সম্পর্কে ধারণা থাকা খুবই দরকার। নিজের দক্ষতা ও আগ্রহের পাশাপাশি বাজারের সাথে সামাঞ্জস্যতা রয়েছে এমন ব্যবসাই শুরু করা উচিত। যেমন ধরুন, আপনি উলের সোয়েটার খুবই পছন্দ করেন এবং এ নিয়ে আপনার আগ্রহও রয়েছে। কিন্তু আপনি যে এলাকায় বাস করেন সেটি একটি গ্রীষ্মপ্রধান এলাকা এবং এখানে ঠিক মতো শীতকালও আসে না। এমতাবস্থায় উলের সোয়েটারের ব্যবসা করা মোটেও বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবে না।

আবার, এমন ব্যবসাও ঠিক করা উচিত না যা অহরহ দেখা যায়। সবার সাথে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকাটাও এখানে চ্যালেঞ্জ বলে প্রতীয়মান হতে পারে। এই কারণে কোন বাজারে কি পণ্য বিক্রয় করতে হবে এই ব্যাপারে আমাদের আগেই সচেতন মস্তিস্কে পর্যালোচনা করতে হবে।

৩. ব্যবসায়িক মডেল তৈরি

যেকোনো ব্যবসা করার জন্যই প্রয়োজন একটি সঠিক পরিকল্পনা। পরিকল্পনা ব্যতীত একটি ব্যবসা শুরু করাই মুশকিল। যদিওবা শুরু করা সম্ভব হয় তারপরেও লম্বা সময় ধরে এটিকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এই কারণে একটি ব্যবসা শুরু করার আগে আমাদের এটি মাথায় রাখা দরকার যে আমরা ব্যবসা কীভাবে শুরু করবো, কারা হবে ক্রেতা বা সেবা গ্রহণকারী, বিপণন কৌশল কি হবে ইত্যাদি।

এই প্রতিটি বিষয় হয়ত ব্যবসা শুরু করার আগেই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ঠিক করে রাখা সম্ভব নয় কিন্তু এর সম্পর্কে একটি সুষ্ঠু ধারণা পারে অনিয়ন্ত্রিত ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করতে। একই সাথে মুলধন কীভাবে খরচ করা হবে, ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত আয়ের কি পরিমাণ খরচ করবেন আর কি পরিমাণ ব্যবসায় আবার ব্যয় করবেন এই ব্যাপারগুলোতেও ধারণা না থাকলে মুলধন বা পুঁজি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিজনেস মডেল কি? কিভাবে বিজনেস মডেল তৈরি করবেন?

৪. মুলধন নিশ্চিতকরন

উপরে যখন মূলধনের কথা একবার উল্লেখ করেই ফেলেছি, তাহলে এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করে ফেলা যাক। খুব কম ব্যবসাই রয়েছে যাতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পুঁজি বা মুলধন প্রয়োজন হয় না। ছোট কিংবা বড় আকার যেমনই হোক না কেনো, মুলধন সংস্থান ব্যবসা পরিকল্পনার একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ধাপ।

বিভিন্ন উপায়ে এই মুলধন সংগ্রহ করা যেতে পারে। ব্যক্তিগত সঞ্চয়, ঋণ, অনুদান কিংবা বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে ব্যবসার মুলধন সংগ্রহ করা যেতে পারে। একই সাথে পরবর্তী বিভিন্ন রকমের খরচ যেমন: কাঁচামাল বা পণ্য সংক্রান্ত খরচ, স্থান সংক্রান্ত খরচ, প্রচারণা সম্পর্কিত খরচ ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা জরুরি। এটি আপনাকে কতটা তহবিল প্রয়োজন এবং আপনি কীভাবে এটিকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবেন তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে।

৫. ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ

আইনত উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে, যথাযথ সরকারি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবসা নিবন্ধন করতে হবে। আপনি কি ধরনের ব্যবসা করতে চান তা প্রতিফলিত হয় এমন একটি ব্যবসার নাম চয়ন করতে হবে এবং সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার অধীনে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স এর খরচ ব্যবসার ধরনের উপরেও নির্ভর করে।

আপনার প্রয়োজন অনুসারে আইনি কাঠামোর উপর নির্ভর করে আপনার ব্যবসাকে একমাত্র মালিকানা, অংশীদারিত্ব, সীমিত দায় কোম্পানি (LLC) বা কর্পোরেশন হিসাবে নিবন্ধন করতে পারেন।

৬. ই-টিন রেজিস্ট্রেশন, আয়কর রিটার্ন অ্যাকাউন্ট তৈরি

আপনার শিল্প এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে, আপনাকে আইনিভাবে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট লাইসেন্স এবং পারমিট এর প্রয়োজন হতে পারে। আপনার ব্যবসার জন্য কি কি নীতিমালা প্রয়োজন আর কোন কোন জায়গা থেকে অনুমতি নিতে হবে তা জেনে রাখা দরকার। অন্যথায় বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে।

প্রতিটি সচেতন নাগরিকেরই কর প্রদান করতে হয়। এই নিমিত্তে ই-টিন রেজিস্ট্রেশন, আয়কর রিটার্ন অ্যাকাউন্ট তৈরি করা ইত্যাদি গুরুত্বের সাথে করা বাঞ্ছনীয়। কর প্রদান ও প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং পারমিট অর্জনে ব্যর্থ হলে জরিমানা, আংশিক বাজেয়াপ্ত এমনকি আপনার ব্যবসা বন্ধ হয়েও যেতে পারে।

৭. টিম ম্যানেজমেন্ট

কথায় বলে, দশের লাঠি, একের বোঝা। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একা চলতে পারে না। এমন কি একজন স্বাধীন মুদি দোকানদারেও সৎ ও ভরসাযোগ্য যোগানদাতা প্রয়োজন। এই কারণে আপনাকে প্রথমেই জনবল সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

আপনার ব্যবসার সাফল্যের জন্য একটি শক্তিশালী এবং যোগ্য দল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপগুলো সুচারুভাবে চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দল থাকার বিকল্প নেই। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পুরো প্রক্রিয়াকে আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ করে দ্বায়িত্ব বণ্টনের মাধ্যমে এটি শুরু করা যেতে পারে।

কিভাবে টিম ম্যানেজমেন্ট করতে হয়? ব্যবসায় এটির গুরুত্ব

৮. ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি তৈরি 

একটি স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড পরিচয় তৈরি করা না হলে অন্য বিদ্যমান ব্র্যান্ড থেকে নিজেকে আলাদা করা সম্ভব না। ব্যবসার জন্য একটি উপযুক্ত নাম, আকর্ষণীয় লোগো, চলন সই স্লোগান ইত্যাদি একটি ব্র্যান্ড হিসেবে আপনার প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। অনেক সময় ব্র্যান্ড এর লোগো, ওয়েবসাইটের জন্য একটি কালার স্পেক্ট্রাম অনুসরণ করলে মানুষের মনে পণ্যের একটি ছবি গেঁথে দেওয়া সহজ হয়।

তবে উন্নত কাস্টমার কেয়ার, ভালো ও উন্নতমানে পণ্য বা সেবা প্রদান ইত্যাদি নিশ্চিত করা না হলে, যতই সুন্দর নাম বা লোগো থাকুক না কেনো ব্যবসায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

কিভাবে ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি তৈরি করবেন?

৯. বিপণন কৌশল বা মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা

মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি এমন একটি অভিনব পন্থা যা একটি ব্যবসাকে শূন্য থেকে কোটিতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। একই ভাবে ভুল বিপণন কৌশল একটি প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে।

যে কোনো ব্যবসার মূল লক্ষ্য হলো ক্রেতাদের কাছে পণ্য সম্পর্কিত খবর পৌঁছে দেওয়া। এই নিমিত্তে আমরা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করতে পারি। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটিং কিংবা ই-মেইল মার্কেটিং - আমাদের পন্থা যাই হোক না কেনো, লক্ষ্য কিন্তু একটাই। আর তা হলো সর্বোচ্চ প্রচার নিশ্চিত করা।

মার্কেটিং স্ট্রাটেজি কি? কিভাবে এটি তৈরি করা হয়? এর গুরুত্ব

১০. অপারেশনাল সিস্টেম গঠন

দক্ষ অপারেশনাল সিস্টেম আপনার ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলিকে মসৃণভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে৷ ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, গ্রাহক পরিষেবা এবং মান নিয়ন্ত্রণের জন্য এই সকল প্রক্রিয়াসমূহ স্থাপন করতে হবে।

একই সাথে পণ্য সংগ্রহ জমা রাখার জন্য একটি কার্যকর গুদাম বা ওয়ারহাউজ ব্যবস্থাপনা দরকার। এটি মাথায় রাখা জরুরি যে পণ্য ভিত্তিক ব্যবসা সমূহতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সকল পণ্য বিক্রয় হয়ে যাবে এমনটা কিন্তু না। জমে থাকা পণ্য সমূহ কীভাবে চলমান করতে হয় এটিও মাথায় রাখা জরুরি।

১১. আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা

মুলধন সংগ্রহের মাধ্যমেই কিন্তু অর্থ সংক্রান্ত কর্মাবলি শেষ হয়ে যায় না। আপনার ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের জন্য কার্যকর আর্থিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার আয়, খরচ, এবং নগদ প্রবাহ সম্পর্কে একটি উপযুক্ত ধারণা থাকা প্রয়োজন।

আর্থিক লেনদেন সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ এবং আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে আর্থিক হিসাব সংরক্ষণে দক্ষ মানুষদের নিয়োগ করা উচিত।

১২. পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা 

একজন ব্যবসায়ী উপরে সবগুলো কাজ করার পরেও সফল না হতে পারে। আবার উপরের অনেকগুলো কাজ না করেও একজন সফলতার শিখরে আরোহণ করতে পারে। এই কাজটি হলো খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা।

ব্যবসার ক্ষেত্র সদা পরিবর্তনশীল। এই পরিবর্তনের সাথেও যারা খাপ খাইয়ে নিতে পারবে তারাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারবে। যারা এই সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাবে তাদের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে উঠবে।

এই কারণে চটপটে থাকুন এবং প্রয়োজনে আপনার কৌশলগুলি মানিয়ে নিতে প্রস্তুত হন। শিল্প প্রবণতা, গ্রাহক প্রতিক্রিয়া, এবং বাজারের চাহিদা নিরীক্ষণ করুন। উদ্ভাবনকে আলিঙ্গন করুন এবং আপনার পণ্য, পরিষেবা বা ব্যবসায়িক মডেলে পরিবর্তন করার জন্য উন্মুক্ত থাকুন। নমনীয়তা এবং পরিবর্তন করার ক্ষমতা আপনাকে প্রতিযোগিতামূলক থাকতে এবং নতুন সুযোগগুলি দখল করতে সহায়তা করবে।

একটি নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য সতর্কতামূলক পরিকল্পনা, গবেষণা এবং বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মনে রাখার মাধ্যমে, আপনি আপনার উদ্যোক্তা হওয়ার যাত্রায় একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করতে পারেন। কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আমাদের সাহসী হতে হবে। এই কারণে “ শুরু করার জন্য আগে শুরু করুন ”।