যারা উৎসব অনুষ্ঠানে সাজতে ভালোবাসেন তারা জুয়েলারি নিয়ে একটু আলাদা করেই ভাবেন। কারণ অলংকার, পোশাক আর পরিবেশ মিলিয়ে সবার মাঝে একধরণের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। যেভাবেই সাজগোজ করেন না কেন, জুয়েলারি ছাড়া সে সাজ অপূর্ণ থেকে যায়, বিশেষ করে বিয়ের সাজের ক্ষেত্রে।
জুয়েলারি শুধুমাত্র মূল্যবান ধাতু ও রত্নের সংমিশ্রণ নয়, বরং ব্যক্তিগত শৈলী ও স্মৃতির প্রতীক। জুয়েলারি ব্র্যান্ডগুলো এই চাহিদা পূরণ করে, তাদের গ্রাহকদের জন্য অনন্য ডিজাইন ও উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ করে।
জুয়েলারি ব্র্যান্ড কি?
Jewelry ব্র্যান্ড হলো একটি প্রতিষ্ঠান যা অলংকার ডিজাইন করে, তৈরি করে এবং বাজারজাত করে। এই ব্র্যান্ডগুলো তাদের নিজস্ব ডিজাইন এবং মানের মাধ্যমে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে এবং বিশ্বব্যাপী নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করে। যেমন আংটি, চুড়ি, কানের দুল, নেকলেস ইত্যাদি।
জুয়েলারি ব্র্যান্ড কি ধরনের সেবা দেয়?
Jewellery Brand গুলো সাধারণত নীচের সেবাগুলো প্রদান করে:
১. অলংকার নকশা করা ও তৈরি করাঃ
Jewelry ব্র্যান্ডগুলো গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী অলংকার ডিজাইন করে তৈরি করে দিয়ে থাকে। আবার অনেক সময় তাদের ডিজাইনকৃত অলংকার থেকেও ক্রেতাগণ পছন্দসই অলংকার বেছে নেয়।
২. মেরামত ও পলিশিং করাঃ
অনেক জুয়েলারির শপ পুরানো গহনা মেরামত করে থাকে। আবার সেগুলো ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী অন্য ডিজাইনেও তৈরি করে দিয়ে থাকে। তারা গহনা পরিষ্কার করতে পারে এবং তাদের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে পারে।
৩. বাজার মূল্য নির্ধারণঃ
Jewellery ব্র্যান্ডগুলো গহনা মূল্যায়ন করতে পারে এবং তাদের বাজার মূল্য নির্ধারণ করতে পারে। গয়নার মান এবং খাঁটি স্বর্ণ বা হীরার মান ও নির্ণয় করে।
৪. গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টিঃ
অলংকারের কোয়ালিটির নিশ্চয়তা এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টি সুবিধা প্রদান করে।
৫. বিক্রয় পরবর্তী সেবাঃ
ক্রেতার সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে বিক্রয় পরবর্তী বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশে জুয়েলারি ব্র্যান্ডগুলো কেমন হওয়া উচিত?
বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ধরণের জুয়েলারি ব্র্যান্ড রয়েছে, যার প্রত্যেকটিরই নিজস্ব অনন্য শৈলী রয়েছে। তবে, ভালো জুয়েলারি ব্র্যান্ডের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছেঃ
- মানসম্পন্ন পণ্যঃ জুয়েলারি ব্র্যান্ডগুলো উচ্চমানের এবং বিশুদ্ধ ধাতু এবং মূল্যবান পাথর ব্যবহার করে অলংকার তৈরি করতে হবে।
- অনন্য ডিজাইনঃ স্থানীয় সংস্কৃতি এবং আধুনিক ফ্যাশনের সমন্বয়ে অন্যোন্য ডিজাইন তৈরির সক্ষমতা।
- বাজেট বান্ধবঃ বিভিন্ন স্তরের ক্রেতাদের জন্য বাজেট বান্ধব অলংকার রাখা।
- গ্রাহক সেবাঃ দ্রুত এবং কার্যকর গ্রাহক সেবা প্রদান।
- প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতাঃ ক্রেতাদের মাঝে ব্র্যান্ডের সুনাম এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখা।
বাংলাদেশে জুয়েলারি শিল্পের সাধারণ পরিসংখ্যান
উজ্বল সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প। দিন দিন বড় হচ্ছে এই খাত। বাড়ছে বিনিয়োগ ও পরিধি। বাজুসের মতে, বাংলাদেশের (২০২১ সালে) বার্ষিক স্বর্ণের চাহিদা ২০-৪০ মেট্রিক টন এবং এর চাহিদা বাড়ছেই।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিউওয়াই রিসার্চ এর তথ্যমতে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে শুধু স্বর্ণালংকার বিক্রি হয়েছে ২৩৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের। প্রতি বছর সাড়ে ১২ শতাংশ প্রবৃধির মধ্য দিয়ে ২০৩০ সালে স্বর্ণালংকার বিক্রির এ অঙ্ক ১ হাজার ৭০৬ কোটি ২০ লাখ ডলারে উন্নীত হবে।
দেশে বিপুলসংখ্যক আন্তর্জাতিক মানের স্বর্ণ কারিগর রয়েছেন। দেশজুড়ে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার সঙ্গে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত।
কোম্পানিগুলো কেন Bipony.com এ তালিকাভুক্ত করা হলঃ
বাংলাদেশে Bipony.com বিজনেস ডিরেক্টরি এবং রিভিউ সেবা দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে স্থানীয় গ্রাহকদের তাদের কোম্পানি গুলো লিস্টিং করার এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে রিভিউ সংগ্রহ করার সুযোগ দিচ্ছে। গ্রাহকদেরকে পন্য বা সেবা সম্পর্কে আরো বেশি ধারণা দেওয়ার জন্য কোম্পানিগুলো BIPONY তে তালিকাভুক্ত হচ্ছে।
ভালো Jewellery ব্যান্ড শপ চেনার উপায়
ভালো Jewellery ব্যান্ড শপ চেনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা উচিতঃ
- কোম্পানিটি দেশের নিয়ম-কানুন মেনে ব্যবসা করছে কিনা যাচাই করুন।
- তাদের সেবার সময়কাল ও স্থায়িত্ব সম্পর্কে জানুন।
- প্রতিষ্ঠানটির সুনাম এবং আগের ক্লায়েন্টদের রিভিউ পড়ুন।
- কোম্পানির অভিজ্ঞতা এবং সফলতার হার পর্যালোচনা করুন।
- পণ্যের মান এবং খাঁটি স্বর্ণ বা হীরার মান যাচাই করার সামর্থ্য আছে কিনা জানুন।
- বিক্রয় পরবর্তী সেবা এবং ওয়ারেন্টি সুবিধা সম্পর্কে জানুন।
- কোম্পানির গ্রাহক সেবা এবং সমর্থন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানুন।
- Resell Policy সম্পর্কে ভালো করে জানুন।
- পরিমাপ যন্ত্র Standard কি না বা Standard মাপ দিচ্ছে কিনা যাচাই করুন।
এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে, আপনি সহজেই একটি ভালো জুয়েলারি কোম্পানি নির্বাচন করতে পারবেন যা আপনার ক্রয় অভিজ্ঞতাকে করবে নির্ভরযোগ্য।