List of Footwear Brands & Company In Bangladesh

Find all List of Footwear Brands & Company In Bangladesh

Filter Business
Filter Business

Filter by Location


Filter by Tags


Business Categories

Trek N Tread

Bogura, Rajshahi

Trekntread is a leading e-commerce footwear platform in Bangladesh, offering ...

Bata

Dhaka

Bata Shoe Company was founded in 1894 by Tomas Bata ...

Apex

Dhaka

Welcome to Apex Footwear Limited - South Asia’s leading publicly ...

Stepfootwear has earned its place as a trusted name in ...

Founded in 2003, Bay Emporium Ltd. is a proudly homegrown ...

Sometimes, it’s the smallest steps that spark the biggest changes. ...

Zuqo

Dhaka

At ZUQO, we believe that great shoes do more than ...

Orion Footwear Limited is a key strategic business unit within ...

At Royal Footwear, we operate three cemented production lines, each ...

Richkid is a premium destination for high-quality leather shoes and ...

জুতার ব্যবহার আসে বিভিন্ন ধরণের রোগ থেকে বাঁচার জন্য। কিন্তু জুতা এখন আর শুধু পা ঢাকার জন্য নয়—এটি স্টাইল, আরাম এবং আত্মবিশ্বাস প্রকাশের এক শক্তিশালী মাধ্যম। স্পোর্টস শু, ফরমাল, ক্যাজুয়াল বা স্যান্ডাল—সঠিক জুতা আপনার পুরো লুকই পাল্টে দিতে পারে। বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে গবাদি পশু থাকায় বিশাল আকারে চামড়া উৎপাদন হয় এবং রপ্তানি হয়। বাংলাদেশে ফুটওয়্যার ব্যবসা একটি দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প, যা ঐতিহ্যবাহী চামড়ার স্যান্ডেল থেকে আধুনিক স্নিকার পর্যন্ত গ্রাহকদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করছে।

ফুটওয়্যার ব্যবসা

সব বয়সের মানুষের জুতার প্রয়োজন। বারো মাসই জুতার চাহিদা থাকে। এই চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে ফুটওয়্যার ব্যবসা।

ফুটওয়্যার ব্যবসা হলো এমন একটি ব্যবসায়িক খাত যেখানে জুতা, স্যান্ডেল, স্লিপার এবং অন্যান্য পাদুকা সামগ্রী উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি করা হয়। এটি একটি বৃহৎ শিল্প যা কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচারিং, ব্র্যান্ডিং, এবং গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিটি ধাপকে অন্তর্ভুক্ত করে।

ফুটওয়্যার ব্র্যান্ডগুলো কীভাবে কাজ করে?

ফুটওয়্যার ব্র্যান্ডগুলো একটি সমন্বিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে, যা ডিজাইন থেকে শুরু করে বিক্রয় ও বিতরণ পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশে এই প্রক্রিয়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। নিচে এদের কিছু মৌলিক কাজ তুলে ধরা হলোঃ

১. বাজার গবেষণা ও ট্রেন্ড বিশ্লেষণ: বাজার গবেষণা হলো এই ব্যবসার  লক্ষ্য, বাজার, প্রতিযোগী এবং ক্রেতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে জানার চেষ্টা ক্রেতারা কী চায়, পণ্য ও সেবা তাদের চাহিদার সাথে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ এবং বাজারে কী ঘটছে। আর ট্রেন্ড বিশ্লেষণ হলো নির্দিষ্ট সময়ে বাজারের পরিবর্তনশীল প্রবণতাগুলো চিহ্নিত করা এবং সে অনুযায়ী ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেওয়া। জুতার বাজারে প্রতিনিয়ত নতুন ট্রেন্ড আসে এবং যায়। এই ট্রেন্ডগুলো বুঝে ব্র্যান্ডগুলো জুতার ডিজাইন করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, শীতের মৌসুমে স্নিকার্সের চাহিদা বাড়ে।

২. ডিজাইন ও প্রোটোটাইপ তৈরি: ডিজাইনাররা আরাম, স্থায়িত্ব, এবং ফ্যাশনের সমন্বয়ে জুতোর নকশা তৈরি করে। বাংলাদেশে হস্তশিল্পের চামড়ার জুতো বা ক্যানভাস স্নিকার জনপ্রিয়। প্রোটোটাইপ তৈরির পর আরাম ও ফিটিং পরীক্ষা করা হয়।

৩. উৎপাদন ও সাপ্লাই চেইন: স্থানীয় কারখানা বা পাইকারি বাজার থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয়। বড় ব্র্যান্ডগুলো নিজস্ব কারখানা বা আউটসোর্সিং ব্যবহার করে। ছোট ব্র্যান্ডগুলো হস্তশিল্প বা প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড মডেল অনুসরণ করে। উৎপাদনের পর কোয়ালিটি, ফিনিশিং, স্টিচিং, সোলের গ্রিপ থেকে শুরু করে আরামের মান পরীক্ষা করা হয় প্রতিটি ধাপে। 

. মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং: ব্র্যান্ডগুলো ক্রেতাদের বয়স, আয়, পেশা, জীবনধারা এবং ফ্যাশন পছন্দ   অনুযায়ী মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং করে থাকে। ফেসবুক লাইভ, ইনস্টাগ্রাম রিল, এবং ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ইত্যাদির মাধ্যমে ব্র্যান্ডিং করে থাকে। লোগো, স্লোগান, এবং প্যাকেজিংএর মাধ্যমে গ্রাহকদের আকর্ষণ করে। সেইসাথে ফেস্টিভ অফার, ডিসকাউন্ট, কিংবা ‘লিমিটেড এডিশন’ Shoe নিয়েও চলে প্রচার।

. বিক্রয় ও বিতরণ: বিক্রয় ও বিতরণ ব্যবসার মেরুদণ্ড। জুতা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার হয়। পপ-আপ শপে বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন ই-কমার্স বা নিজস্ব ওয়েবসাইটেও জুতা  বিক্রি করা হয়।

৬. গ্রাহক সেবা: রিটার্ন পলিসি, দ্রুত ডেলিভারি, এবং ওয়ারেন্টি সেবা দিয়ে ব্র্যান্ডগুলো গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে।

জুতার ব্যবসা শুরু করার ধাপসমূহ

বাংলাদেশে জুতার ব্যবসা একটি লাভজনক এবং সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র, যেখানে ঐতিহ্যবাহী চামড়ার জুতো থেকে আধুনিক স্নিকার পর্যন্ত বিভিন্ন চাহিদা রয়েছে। এই ব্যবসার বিভিন্ন ধাপ উল্লেখ করা হলোঃ

বাজার গবেষণা: আপনার লক্ষ্য গ্রাহক কারা, তাদের চাহিদা কী, কোন ধরণের জুতার চাহিদা বেশি, প্রতিযোগীরা কী ধরণের জুতা বিক্রি করছে – এসব বিষয়ে ভালোভাবে গবেষণা করুন।

বিজনেস মডেল নির্বাচন: আপনি কি উৎপাদন, পাইকারি নাকি খুচরা ব্যবসা করবেন, তা নির্ধারণ করুন।

বিজনেস প্ল্যান তৈরি: একটি বিস্তারিত বিজনেস প্ল্যান তৈরি করুন, যেখানে আপনার ব্যবসার লক্ষ্য, কৌশল, অর্থায়ন, বিপণন পরিকল্পনা ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে।

মূলধন সংগ্রহ: ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করুন। এটি নিজস্ব পুঁজি, ব্যাংক ঋণ বা বিনিয়োগকারী থেকে আসতে পারে।

আইনি প্রক্রিয়া: ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সহ প্রয়োজনীয় সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। যদি কারখানা স্থাপন করেন, তবে ফ্যাক্টরি প্ল্যান অনুমোদন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে।

সরবরাহকারী বা উৎপাদক নির্বাচন: যদি আপনি উৎপাদন না করেন, তবে নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী বা প্রস্তুতকারক খুঁজে বের করুন।

বিক্রয় চ্যানেল: একটি ফিজিক্যাল দোকান বা অনলাইন স্টোর, অথবা উভয়ই ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইন ব্যবসার জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন।

বিপণন প্রচার: নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এবং ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়াতে বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং, ছাড় বা বিশেষ অফার ব্যবহার করুন।

ফুটওয়্যার বিজনেস এর বাজার পরিসংখ্যান

বাংলাদেশে জুতার বাজারের সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও, বিভিন্ন কোম্পানির অনুমান অনুযায়ী এর আকার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এটি একটি বড় এবং ক্রমবর্ধমান বাজার। এই শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫-২০ লাখ মানুষ জড়িত, যার মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ বর্তমানে বছরে প্রায় ৩৫ কোটির বেশি জোড়া জুতা উৎপাদন করে, যা বিশ্ব জুতা উৎপাদনে বাংলাদেশকে অষ্টম স্থানে রেখেছে। দেশে উৎপাদিত জুতা দিয়ে চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ হলেও, প্রায় ৪০% জুতা এখনও আমদানি করা হয়। বাংলাদেশের মোট জুতার বাজারের প্রায় ৩০-৪০% ব্র্যান্ডেড জুতার দখলে। বাকিটা নন-ব্র্যান্ড, আঞ্চলিক ব্র্যান্ড এবং আমদানি করা জুতার দখলে রয়েছে।

জুতা রপ্তানিতে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বের মোট জুতা রপ্তানির খুব সামান্য অংশই (প্রায় ০.৫%) বাংলাদেশ থেকে আসে, তবে এই হার বাড়ছে। বাংলাদেশের জুতা মূলত ইউরোপের দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৯৬ কোটি মার্কিন ডলারের জুতা রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে চামড়ার জুতা থেকে ৫৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং নন-লেদার জুতা থেকে ৪১ কোটি ৬৮ লাখ ডলার আয় হয়েছে। বাংলাদেশের ফুটওয়্যার এর বাজার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত সম্ভবনা রয়েছে। 

কীভাবে চিনবেন একটি ভালো ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড?

বাংলাদেশে ফুটওয়্যার ব্র্যান্ডের বাজার দ্রুত বাড়ছে, এবং গ্রাহকদের জন্য বৈচিত্র্যপূর্ণ জুতোর বিকল্প রয়েছে। সেরা ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড বাছাই করতে গ্রাহকদের চাহিদা, ফ্যাশন ট্রেন্ড, এবং বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। নিচে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:

১. জুতোর গুণমান ও স্থায়িত্ব

জুতোর গুণমান সেরা ব্র্যান্ড নির্বাচনের প্রধান শর্ত। উপকরণ (চামড়া, ক্যানভাস, সিন্থেটিক), সেলাইয়ের মান, এবং সোলের স্থায়িত্ব পরীক্ষা করুন। গুণমানযুক্ত জুতো দীর্ঘ সময় ব্যবহারে আরামদায়ক এবং টেকসই হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী।

২. মূল্য-গুণমানের ভারসাম্য

বাজেটের সঙ্গে জুতোর গুণমানের ভারসাম্য রাখা জরুরি। বাংলাদেশে গ্রাহকরা সাশ্রয়ী দামে গুণমান খোঁজেন। মূল্য বিবেচনায় সোলের স্থায়িত্ব ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচও যোগ করুন।

৩. ব্র্যান্ড খ্যাতি ও গ্রাহক আস্থা

ব্র্যান্ডের খ্যাতি এবং গ্রাহক পর্যালোচনা যাচাই করা অপরিহার্য। ভালো ব্র্যান্ডগুলো তাদের পণ্যের জন্য ওয়ারেন্টি বা রিটার্ন পলিসি দিয়ে থাকে। এটি ব্র্যান্ডের পণ্যের প্রতি আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ।

৪. ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য

ব্র্যান্ডটি কতটা আধুনিক বা সাংস্কৃতিক ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে তা দেখুন।ভালো ব্র্যান্ডগুলো ফ্যাশন ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন ডিজাইন বাজারে নিয়ে আসে, তবে তাদের নিজস্ব একটি স্বতন্ত্র স্টাইলও বজায় রাখে।

৫. ই-কমার্স ও ডেলিভারি সুবিধা

অনলাইন কেনাকাটায় ব্র্যান্ডের ডেলিভারি গতি, রিটার্ন পলিসি, এবং পেমেন্ট অপশন গুরুত্বপূর্ণ।ভালো ব্র্যান্ডগুলো অনলাইন কেনাকাটায় দ্রুত ডেলিভারি এবং ক্যাশ-অন-ডেলিভারি সুবিধা দেয়।

৬. জুতোর বৈচিত্র্য ও আরাম

একটি ভালো ব্র্যান্ড বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য যেমন: ফরমাল, ক্যাজুয়াল, স্পোর্টস, বুট, স্যান্ডেল এবং বিভিন্ন রুচির  ক্লাসিক, আধুনিক, ট্রেন্ডি জুতা অফার করে। পায়ের আকার, এবং পছন্দের জন্য বৈচিত্র্যপূর্ণ জুতো সরবরাহ করে। বর্তমানে অর্থোপেডিক জুতো এবং কাস্টমাইজড স্নিকারও জনপ্রিয়।

৭. অফার সুবিধা

ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো প্রায় সময়ই বিভিন্ন অফার যেমন,- 20% Discount, Buy one Get One, Points দিয়ে থাকে। ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে পেমেন্ট করলে অতিরিক্ত ছাড়। 

জুতার ব্যবসা কেবল পণ্য বেচার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি মানুষের জীবনযাত্রা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করার এক শিল্প। এই খাতটি চাহিদাপূর্ণ এবং টেকসই, যেখানে সৃজনশীল ডিজাইন, অতুলনীয় আরাম এবং উচ্চ মান বজায় রেখে যে কেউ একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে পারে।